আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৪-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

আম লম্বায় এক ফুট

নিজস্ব প্রতিবেদক
| শেষ পাতা

আম খেতে ভালোবাসেন না, উপমহাদেশে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল! এখন আমের ভরা মৌসুম। কাঁচা হোক বা পাকা, প্রায় প্রতিদিনের বাজারের সঙ্গে আম আসছে বাড়িতে। তাপমাত্রার পারদ যখন ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী, তখন বেড়ে চলা গরমের জ্বালা বাঙালি অনায়াসে ভুলতে পারে যদি পাতে থাকে ল্যাংড়া, ফজলি, আম্রপালি বা হিমসাগর আমের মোলায়ম কয়েক টুকরো। কিন্তু এমনও আম রয়েছে যেটি আকারে, আয়তনে হার মানাতে পারে যে কোনো জাতের আমকে। এ আমের একেকটি লম্বায় প্রায় ১ ফুট! এর স্বাদ আর গন্ধও অপূর্ব! বিশেষ এ আমের নাম নূরজাহান।

আম দুনিয়ার বাদশা যদি ‘কহিতুর’ হয়, তাহলে নূরজাহানই হল এর একমাত্র জুড়িদার! ইদানীং আম উৎসবের মধ্যে দিয়ে পরিচিতি বাড়ছে এ বিশেষ আমটির। কহিতুরের দামের সঙ্গে নূরজাহানের দামেরও কিছুটা ফারাক রয়েছে। হিমসাগর, ল্যাংড়া, গোলাপখাসের মতো আমের দর যেখানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা কেজি, সেখানে নূরজাহানের দাম প্রতি কেজি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা! চাহিদা বাড়লে একেকটি নূরজাহানের দাম প্রায় ৫০০ টাকায় পৌঁছে যায়।

নূরজাহানের দেশ আফগানিস্তান হলেও ভারতে এ আমের গাছ রয়েছে, তবে তা হাতেগোনা। মধ্যপ্রদেশের আলিরাজপুর জেলার কাত্থিওয়াড়া অঞ্চলে এ জাতের কয়েকটি গাছ রয়েছে। নূরজাহানের গাছের সংখ্যা আর ফলন এতটাই সীমিত যে, গাছে থাকতেই এ আমের আগাম বুকিং শুরু হয়ে যায়। একটা গাছে খুব বেশি ফল ধরারও উপায় নেই। কারণ, একেকটা নূরজাহান আমের ওজন হয় প্রায় ২.৫ থেকে ৩ কিলোগ্রাম! শুনলে অবাক হবেন হয়তো, এ আমের আঁটির ওজনই প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ গ্রাম। জানুয়ারি মাস থেকেই নূরজাহান গাছগুলোতে মুকুল ধরতে শুরু করে। জুন মাসের মধ্যে সম্পূর্ণ পেকে যায় নূরজাহান। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে বিগত ১০ বছরে নূরজাহান আকৃতিতে ক্রমশ ছোট হচ্ছে, কমেছে ফলনও। তবে এখনও এর কদর একটুও কমেনি।