আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৪-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

রংপুরে বেনারসি পল্লীর তাঁতিদের মুখে হাসি

আবদুুর রহমান মিন্টু, রংপুর
| সুসংবাদ প্রতিদিন

রংপুরের গঙ্গাচড়ায় বেনারসি পল্লীতে তৈরি রাঙুলি, চুন্দরি, নেট, ঝুট, কোটাসহ নানা রঙের শাড়ির কদর বাড়ছে। ঈদকে সামনে রেখে তাঁতিদের এখন ব্যস্ত সময় কাটছে। ক্রেতাদের আগমনে তাঁতিদের মুখে হাসি ফুটেছে। জেলা শহর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের গ্রাম গঙ্গাচড়া উপজেলার হাবু বেনারসি পল্লীতে সরেজমিন দেখা যায়, রংপুরসহ আশপাশের জেলা থেকে নারীরা ঈদের কেনাকাটা করতে ছুটে এসেছেন। তাদের কেউ এসেছেন ব্যক্তিগত গাড়িতে। কেউবা চার্জার-রিকশায়। 

তাঁতিরা জানান, ক্রেতাদের পছন্দ ও চাহিদার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শাড়ি তৈরি করা হয়েছে। বেনারসি শাড়ি ও থ্রিপিসের চাহিদা গেল বছর ঈদে অনেক বেশি হওয়ায় এবার তাঁতিরা অনেক আগেই এসব শাড়ি তৈরি করে শোরুমে সাজিয়ে রেখেছেন। হাবু তাঁতিপাড়ার বেনারসি পল্লীতে ৭২টি তাঁত কারখানায় বেনারসি পল্লীর তাঁতিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। শাড়ি-থ্রিপিস সরাসরি কারখানা থেকে বিক্রি হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ এলাকায় গড়ে ওঠা কয়েকটি দোকানেও চলছে কেনাবেচা। তাঁতিরা আরও জানান, রাঙুলি, চুন্দরি, নেট, ঝুট, কোটা শাড়ির কদর বেশি। এসব শাড়ির দামও ক্রেতাদের নাগালের মধ্যে। এক হাজার থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে এসব শাড়ি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া বেনারসি শাড়ি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ১২ হাজার টাকায়। সেই সঙ্গে চাহিদা রয়েছে জামদানি শাড়িরও। এক হাজার থেকে আট হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে জামদানি শাড়ি। তাঁতের তৈরি সুতি শাড়ি ও সিল্ক শাড়ির চাহিদাও অনেক। তাঁতিরা আরও জানান, সারা বছর খুচরা ও পাইকারি বিক্রি থাকলেও ঈদে বিক্রি বেড়ে যায়। রংপুর শহর ছাড়াও আশপাশের জেলা শহর থেকে লোকজন বেনারসি পল্লীতে ছুটে আসেন শাড়ি-থ্রিপিস কিনতে। বেনারসি পল্লীতে শাড়ি কিনতে আসা রংপুর শহরের গুপ্তপাড়ার সুমাইয়া আক্তার জানালেন, বাজার থেকে এখানে শাড়ির দাম কিছুটা কম। বেনারসি শাড়ির বুনন ভালো। রং, নকশাও পছন্দের। শহর থেকে কয়েকজন নারী দল বেঁধে এসেছেন বেনারসি পল্লীতে। এদের মধ্যে সামসুন্নাহার নামের একজন বলেন, গেল বছরও এখান থেকে শাড়ি কিনেছি। এবারও শাড়ি দেখতে আসছি। 
দাম নাগালের মধ্যে রয়েছে। মৌমিতা বেনারসি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী নাজমুন নাহার বলেন, ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী নকশার ওপর গুরুত্ব দিয়ে শাড়ি তৈরি করা হয়। বেনারসি পল্লীর ফাইয়াজ বেনারসির মালিক ফরিদা রহমান বলেন, এবার রোজার শুরু থেকেই কেনাবেচা শুরু হয়েছে। নিশাত বেনারসি প্রতিষ্ঠানের মালিক আবদুল কুদ্দুস বলেন, রংপুর শহর ছাড়াও আশপাশের জেলা থেকে মানুষজন গাড়িতে করে এসে শাড়ি কিনছেন।