ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি খাদ্য গুদামে গম কিনতে কৃষক নির্বাচনে বাতিল হওয়া লটারি শনিবার ফের হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা সভা কক্ষে লটারি কার্যক্রম শুরু করা হলেও কৃষি বিভাগের দেওয়া কৃষক ও গম চাষির তালিকা হাল নাগাদ না হওয়ায় জনপ্রতিনিধি ও কৃষকের দাবির মুখে তা বন্ধ করে দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নুর কুতুবুল আলম। মাইকে ব্যাপক প্রচার করে সোমবার ইউনিয়ন পর্যায়ে লটারি করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সরকারিভাবে গম কেনার লক্ষ্যে কৃষক নির্বাচনে গেল ১৬ মে পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে লটারি করা হয়। ১৬১৮ জন কৃষকের ক্রমিক নম্বর লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হলেও পরে তালিকায় কিছু হেরফের ধরা পড়ে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বৃহস্পতিবার উপজেলা খাদ্যশস্য ক্রয় কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এডব্লিউএম রায়হান শাহ। তিনি বিতর্কিত লটারি বাতিল ঘোষণা করেন। শনিবার ফের লটারি অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি হিসেবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নুর কুতুবুল আলম পীরগঞ্জে যান। লটারি কার্যক্রম শুরু হলেও কৃষি বিভাগের দেওয়া গম চাষির তালিকা হাল নাগাদ না হওয়ায় ইউপি চেয়ারম্যান ও কৃষকরা প্রতিবাদ জানান। এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লটারির কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। জনপ্রতিনিধি ও কৃষকের দাবির মুখে রোববার সারা দিন মাইকে ব্যাপক প্রচারের পর সোমবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আগ্রহী গম চাষির কৃষি কার্ড জমা নিয়ে বিকালে ইউনিয়ন পর্যায়ে উপজেলা প্রশাসনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে প্রকাশ্যে লটারি করার নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসনের এ কর্মকর্তা।
