কার্ডিফের সোফিয়া গার্ডেনে দারুণ সাফল্যগাথা আছে বাংলাশে দলের। ২০০৫ সালে ত্রি-দেশীয় ওয়ানডে টুর্নামেন্টে সে সময়ের নম্বর ওয়ান অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে দিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে সেরা আপসেটের জন্ম দিয়েছে। এক যুগ পর সেই কার্ডিফে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে উঠেছে সেমিফাইনালে। বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে বাংলাদেশ পাচ্ছে দুটি ওয়ার্মআপ ম্যাচ। দুটিই কার্ডিফে। প্রথম ম্যাচটি আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে; ২৮ মে ভারতের বিপক্ষে। প্রস্তুতি ম্যাচ দুটিতে বড় প্রতিপক্ষ। এ ম্যাচ দুটি থেকে আত্মবিশ্বাসের পারদ ওপরে তুলতে চান জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। শুক্রবার বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে লন্ডন যাত্রাকালে বিমানে বসেই স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকালে তিনি বলেন, ‘কার্ডিফ থেকে ওয়ার্ল্ড কাপ জার্নি শুরু হচ্ছে, এটা ভালো একটা দিক। কারণ, এ মাঠে আমাদের সাফল্য অনেক বেশি। ২০০৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার যে দলটিকে হারিয়েছি আমরা, ওই দলটি তখন ছিল অজেয়। পন্টিংয়ের নেতৃত্বাধীন ওই দলকে হারানো সম্ভব, তা আমরা কেন, তখন অন্যরাও এতটা বড় স্বপ্ন দেখত না।
প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরমেন্সে অতীতে বাংলাদেশকে যেভাবে রিড করেছে প্রতিপক্ষ, মূল ম্যাচে কিন্তু অন্য বাংলাদেশকে দেখেছে দর্শক। সে কারণেই প্রস্তুতি ম্যাচের ফল নিয়ে আশাহত কিংবা মাত্রারিক্ত সন্তুষ্টির কিছুই দেখছেন না সুমন। ‘অনুশীলন ম্যাচের ফল যা-ই- হোক, মূল ম্যাচে বাংলাদেশ দল ভালো খেলবে। অনুশীলন ম্যাচে নিজেদের শক্তিটাও জেনে যেতে পারব।’
প্রস্তুতি ম্যাচে একাদশ পরখ করার কাজটি এখন আর বাকি নেই বলেও মনে করছেন নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। ‘আয়ারল্যান্ডে ত্রি-দেশীয় ওযানডে টুর্নামেন্ট থেকে সবাইকে দেখে নিতে পেরেছি। তাই সেরা একাদশ নির্বাচনে টিম ম্যানেজমেন্টের কাজটাও সহজ হয়েছে।’
প্রথম তিনটি ম্যাচকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন সুমন, ‘আমাদের টার্গেট যখন সেরা ৪-এ থাকা, তাই বলছি, প্রথম তিনটি ম্যাচ আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ প্রথম ম্যাচে বাংলাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। শুরুতে বড় প্রতিপক্ষ পাওয়ায় এতটুকু উদ্বিগ্ন নন সুমন; ‘বড় ম্যাচ দিয়ে শুরু করাটা এক অর্থে ভালো। বড় দলের বিপক্ষে জয় পেলে কিংবা ঝাঁকুনি দিতে পারলে অন্যদলগুলো কিছুটা হলেও ভয় পাবে। সুতরাং আমাদের তো ভয় পাওয়ার কিছুই দেখছি না। ২০০৭ বিশ্বকাপেও কিন্তু আমরা সে সময়ের সেরা ভারত দলকে হারিয়ে দিয়ে শুরু করেছিলাম। যে দলটি ছিল ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা দল। সুতরাং বড় ম্যাচ দিয়ে ওয়ার্ল্ড কাপ শুরু করায় উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছুই দেখছি না। তাছাড়া এবার দক্ষিণ আফ্রিকার যে ওয়ার্ল্ড কাপ স্কোয়াডটি ঘোষিত হয়েছে, সে দলের বোলিং অ্যাটাক আগের তুলনায় শক্তি অনেক কম। রাবাদা ছাড়া অন্য কাউকে তেমন সমীহ করার কিছু দেখছি না। সম্ভবত বিশ্বকাপ ইতিহাসে নিজেদের সবচেয়ে দুর্বল বোলিং অ্যাটাক নিয়ে খেলবে দ. আফ্রিকা।’