আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৬-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

শ্রীপুর-কাপাসিয়া সড়কে হাতের ইশারায় থামানো হয় যানবাহন

অরক্ষিত লেভেল ক্রসিং

এমএ মালেক, শ্রীপুর (গাজীপুর)
| দেশ

ঢাকাগামী জামালপুর কমিউটার ট্রেন শুক্রবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর লেভেল ক্রসিং পার হওয়ার সময় নামানো হয়নি প্রতিবন্ধক -আলোকিত বাংলাদেশ

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর রেলস্টেশনের পাশ ঘেঁষে চলে গেছে শ্রীপুর-কাপাসিয়া সড়ক। সড়কটির লেভেল ক্রসিংয়ের এক পাশের গেট দীর্ঘদিন নষ্ট থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন সাধারণ যাত্রীসহ স্থানীয়রা। এতে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। রেলওয়ে বিভাগ ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ রেল সড়কের অন্যতম ব্যস্ততম শ্রীপুর রেলস্টেশন। এ স্টেশনটি ঘিরে প্রতিদিন সাতটি ট্রেন দিনে ১৪ বার যাত্রাবিরতি করে থাকে এবং মোট ১২টি ট্রেন ২৪ বার চলাচল করে থাকে। স্টেশনটি শ্রীপুর বাজারের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় বাজার ও স্টেশন ঘিরে স্টেশন আঙিনা সব সময়ই জনাকীর্ণ হয়ে ওঠে। শ্রীপুর থেকে যাত্রীরা ওই সড়ক ব্যবহার করে পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া, গাজীপুর জেলা সদর, নরসিংদী হয়ে সিলেট ও চট্টগ্রাম মহাসড়ক আশপাশে কয়েকটি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকে। বিরতিহীন ট্রেন ও স্টেশনে যাত্রাবিরতি ট্র্রেনগুলো স্টেশনে দাঁড়ানোর আগেই লেভেল ক্রসিংয়ের পশ্চিম পাশের গেট নামানো হয়। এ সময় নষ্ট থাকায় অরক্ষিত থাকে পূর্ব পাশের গেট। দীর্ঘদিন ধরে লেভেল ক্রসিংয়ে পূর্ব পাশের গেট (লোহার প্রতিবন্ধক) নষ্ট থাকায় পথচারী, সাধারণ যাত্রী, স্থানীয় জনসাধারণ ও যানবাহন নিজ দায়িত্বে পারাপার হচ্ছে। এতে তৈরি হচ্ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি। শ্রীপুর বাজারের ব্যবসায়ী শামসুল আলম স্বপন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই সড়কের ওপর এক পাশের লেভেল ক্রসিংটি নামানো হচ্ছে না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লেভেল ক্রসিংটি নষ্ট। নষ্ট থাকায় ঝুঁকি নিয়ে নিজ দায়িত্বে রেল লাইন পারাপার হচ্ছে স্থানীয়রা। এতে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের কাজ দেখে মনে হচ্ছে, বড় দুর্ঘটনা না ঘটলে লেভেল ক্রসিংটি মেরামত করবে না। শ্রীপুরের ব্যবসায়ী সমাজের পক্ষ থেকে দ্রুত লেভেল ক্রসিংটি মেরামতের দাবি জানান। শ্রীপুর রেল স্টেশনের গেটকিপার মাসুদ রানা জানান, দীর্ঘদিন ধরে লেভেল ক্রসিংটির একপাশের পিনিয়াম নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে সেটি আর কাজ করছে না। পশ্চিম পাশের লেভেল ক্রসিং নামিয়ে দিয়ে পূর্ব পাশে দাঁড়িয়ে থেকে হাতের ইশারায় ছোট-বড় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কিন্তু যানবাহনের চালকেরা হাতের ইশারা না মেনে চলাচল করে থাকে, এতে বাধা দিলে বাকবিত-ার সৃষ্টি হয়। শ্রীপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার হারুন অর রশিদ জানান, লেভেল ক্রসিংটি দুই আড়াই মাস ধরে কাজ করছে না। ফলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার আশঙ্কা থাকায় কয়েকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু একাধিকবার তারিখ করেও লেভেল ক্রসিংটি মেরামত করাতে কাউকে পাঠায়নি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।