আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৬-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ভারতে ফের নরেন্দ্র মোদি সরকার

বাংলাদেশের প্রত্যাশা

| সম্পাদকীয়

ভারতের লোকসভা নির্বাচনে বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশ, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি টানা দ্বিতীয়বার সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন ৩০ মে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং তাকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অপরদিকে শুক্রবার সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ক্ষমতাসীন বিজেপির বিশাল জয়ের পর বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তিসহ অন্যান্য অমীমাংসিত বিষয়ের দ্রুত সমাধান হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন। 
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই দেশের রাজনৈতিক, বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ ঘনিষ্ঠ। ভারতে এ সময়ে প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে বিজেপি ক্ষমতায় থাকলেও দুই দেশের সম্পর্কে কোনো হেরফের ঘটেনি। বরং এই সময়ে দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়, ভারতকে সড়কপথে ট্রানজিট দেওয়া এবং চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়াসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে সাধারণ মানুষের আসা-যাওয়াও আগের চেয়েও বেড়েছে। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান আজও হয়নি। এমনকি মোদি সরকার বারবার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সত্ত্বেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। এছাড়া বন্ধ হয়নি সীমান্ত হত্যা। এসব দিক বিবেচনায় আমাদের প্রত্যাশা থাকবে, নরেন্দ্র মোদির এবারের শাসনামলে বাংলাদেশের এ সমস্যাগুলোর সমাধান হবে। 
ভৌগোলিকভাবে বাংলাদেশের তিন দিকেই প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের অবস্থান, স্বাভাবিকভাবেই দেশটির সঙ্গে আমাদের রয়েছে বিশাল সীমান্ত এলাকা। রয়েছে অভিন্ন নদীব্যবস্থা, যা সরাসরি দুই দেশের সম্পর্ক নির্ধারণ করে। এর বাইরেও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা বিষয় বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে প্রভাবিত করে থাকে। সংগত কারণেই ভারতের নির্বাচন ও রাষ্ট্রক্ষমতায় কারা এলো তা নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ সর্বক্ষেত্রে আগ্রহ থাকে। এবারের নির্বাচনি ফলও একই আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করেছেন এ দেশের মানুষ।  নরেন্দ্র মোদির বিজয় ইতিবাচক দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখতে হবে। কারণ বিগত শাসনামলে বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তরিকতা লক্ষ করা গেছে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে আশাবাদী এদেশের মানুষ। এবার তিস্তা চুক্তিসহ অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানে নরেন্দ্র মোদির আন্তরিকতা বাস্তবে রূপ নেবে এবং তার নতুন মেয়াদে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বন্ধুসুলভ সম্পর্ক আরও প্রসারিত হবেÑ এটাই বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা। হ