আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৬-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বাজেট হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি : প্রধানমন্ত্রী

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ১৩ জুন তার সরকার আগামী অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করবে; যার আকার হবে ৫ লাখ কোটি টাকার বেশি। তিনি শনিবার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের জন্য দেওয়া এক ইফতার মাহফিলে এ ঘোষণা দেন। বাসস।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ যখন সরকার গঠন করেছিল তখন বাজেটের আকার ছিল ছোট। তিনি বলেন, আমরা যখন সরকার গঠন করি তখন উন্নয়ন বাজেটের আকার ছিল ১৮ থেকে ১৯ হাজার কোটি টাকা; কিন্তু পরবর্তী অর্থবছরে আমরা ২ লাখ কোটি টাকার উন্নয়ন বাজেট প্রণয়ন করেছি। দেশের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়ন তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের প্রতিটি মানুষ যাতে 

অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নিয়ে একটি সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে আমরা তার জন্য সব ব্যবস্থা করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার চায় প্রতিটি মানুষ তার মৌলিক অধিকার নিয়ে বাঁচুক। একটি মানুষও গৃহহীন ও চিকিৎসাহীন না থাকুক এবং শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত না হোক। জাতিকে আবারও সেবা করার জন্য তার সরকারকে পুনর্নির্বাচিত করায় জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতা তার কাছে উপভোগ করার বিষয় নয়, বরং জাতিকে সেবা করার একটি সুযোগ। তিনি বলেন, এ আদর্শ অনুসরণ করে আমি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি এবং এর সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো স্বাধীনতার সুফল প্রতিটি ঘরে পৌঁছে দেওয়া এবং প্রতিটি মানুষকে একটি সুন্দর জীবন উপহার দেওয়া। শেখ হাসিনা বলেন, দেশের ৯৩ শতাংশ লোক এখন বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে এবং তাদের জীবন মান উন্নত হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার নামিয়ে ১১ শতাংশে এনেছি। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আর কোনো চরম দরিদ্র থাকবে না, ইনশাআল্লাহ।

প্রধানমন্ত্রী সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বলেন, আমার একমাত্র প্রত্যাশা আপনারা দেশ এবং জনগণের জন্য দোয়া করবেন, যাতে আমরা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতিমুক্ত একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে পারি। বক্তৃতার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে রমজানের শুভেচ্ছা জানান এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র উপহার দিয়েছেন এবং তিনি চেয়েছেন আমরা যেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত একটি সোনার বাংলা গড়ে তুলি। জাতির পিতা স্বাধীনতার সাড়ে তিন বছরের মধ্যে একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করেছিলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সমুদ্রসীমা আইন প্রণয়ন করেছিলেন এবং ভূ-উপগ্রহ স্টেশন স্থাপন করেছিলেন। তিনি ঐতিহাসিক স্থলসীমা আইনও পাস করেছিলেন, যার ভিত্তিতে চুক্তি স্বাক্ষর করে আমরা ভারতের সঙ্গে ছিটমহল বিনিময় করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের সরকার সব রাজনৈতিক দলের সম্মতিক্রমে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি পাস করে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে ছিটমহল বিনিময় করেছি, যা আমি মনে করি বিশ্বে একটি ইতিহাস। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সরকার দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে নিরলস কাজ করছে। বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, আমরা ২০২০-২১ সালে মুজিববর্ষ, ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ উদযাপন করব।