আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৬-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

বসল ১৩তম স্প্যান

পদ্মা সেতুর এক হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান

| প্রথম পাতা

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যান বসানো হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর এ স্প্যান বসানো হয়। এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে পদ্মা সেতুর ১ হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে লৌহজং উপজেলার মাওয়াস্থ কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ৩-বি নামে স্প্যান নিয়ে রওনা হয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। ৩ হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার ভাসমান ক্রেনটি ১৫০

মিটার দৈর্ঘ্য স্প্যানটি নিয়ে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছে যায়। পদ্মার প্রচ- ঢেউ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এদিন কাজ স্থগিত করা হয়। পরে শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে স্প্যান বসানোর কাজ শুরু করেন দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীরা। অবশেষে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান বসাতে সক্ষম হন কর্মরত প্রকৌশলীরা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবীর ত্রয়োদশ স্প্যান বসানোর সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান বসাতে সক্ষম হন প্রকৌশলীরা। আর এ স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ১ হাজার ৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হলো। পদ্মা সেতুর প্রকৌশল সূত্রে আরও জানা যায়, এখন প্রতি মাসেই এক থেকে একাধিক স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে সংশ্লিষ্টদের। এতে করে পদ্মা সেতুর মহাকর্মযজ্ঞে গতিশীলতা এসেছে বলে মনে করছেন তারা। 

এদিকে, শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২০১৭ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরে পদ্মা সেতুর প্রথম স্প্যান বসানো হয়েছিল। চার মাস পর ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি দ্বিতীয় স্প্যান বসে। এরপর থেকে একের পর এক স্প্যান বসতে থাকে পদ্মা সেতুতে। শুক্রবার সর্বশেষ ১৩তম স্প্যান বসানো হলো মাওয়া প্রান্তে। এতে পদ্মা সেতুতে বসতে বাকি থাকল আরও ২৮টি স্প্যান।

৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য পদ্মা সেতুর ৪২ পিলারের ওপর ৪১টি স্প্যান বসানো হবে। প্রতিটি স্প্যানের দৈর্ঘ্য হচ্ছে ১৫০ মিটার। দোতলা আকৃতির এ সেতু কংক্রিট ও স্টিলের মাধ্যমে নির্মিত হচ্ছে। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি নামে চীনের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মূল সেতু নির্মাণের কাজ করছে।