প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে পতাকা উড়িয়ে বাঁশি বাজিয়ে পঞ্চগড়-ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন ‘পঞ্চগড় এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন করেন - আলোকিত বাংলাদেশ
ঢাকায় মেট্রোরেল চালুর পর বিদ্যুৎচালিত ট্রেন চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমরা মেট্রোরেল যেমন চালু করতে যাচ্ছি, সেই সঙ্গে আমরা বিদ্যুৎচালিত ট্রেন, যা একান্তভাবে পরিবেশবান্ধব, সেই বিদ্যুৎচালিত ট্রেনও চালু করব। আমরা সেভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শনিবার ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে স্বল্প বিরতির আন্তঃনগর ট্রেন পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ পরিকল্পনা জানান তিনি। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে বাঁশি বাজিয়ে, সবুজ পতাকা উড়িয়ে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেন। তিনি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন। একই সময় প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে একসময় হাহাকার ছিল। আজকে প্রায় ৯৩ শতাংশ মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে
পারছি। যেসব মেগা প্রকল্প এবং যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে, তাতে আমাদের বিদ্যুতের কোনো অভাব থাকবে না। রেলের প্রতি মানুষের আস্থা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, যত দিন যাচ্ছে রেল আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে। মানুষ এখন রেলে বেশি চড়তে চায়। চাহিদা মেটানোর জন্য আমাদের আরও বেশি যাত্রীবাহী কোচ দরকার। কাজেই আরও বেশি কোচ আমাদের কিনতে হবে।
তার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় গেল সাড়ে ১০ বছরের রেলের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, কাজেই এভাবে আমরা রেলের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করে যাচ্ছি। যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে একটা দেশের আর্থসামাজক উন্নতি সম্ভব। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রেল, সড়ক, আকাশ, নৌপথ সবদিকেই আমরা দৃষ্টি দিয়েছি এবং উন্নয়ন করে যাচ্ছি। সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক, লাভজনক নয় বলে বিএনপি সরকারের আমলে পুরো রেল যোগাযোগটাই বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। অনেকগুলো ট্রেন ও লাইনগুলো বন্ধ করে দেয়। রেলটাকে সম্পূর্ণভাবে তারা ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাওয়ার পর আলাদা মন্ত্রণালয় গড়ে তুলে সার্বিকভাবে রেলকে যোগাযোগ ব্যবস্থার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, রেলের উন্নয়নে ১০ বছরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকা। ৬৪টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং আরও ৪৮টি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন। এ সময়ে ৩৭১ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। ২৪৮ কিলোমিটার মিটারগেইজ লাইন ডুয়েল গেইজে রূপান্তর করা হয়েছে। ১ হাজার কিলোমিটারের বেশি পুরোনো রেলপথ মেরামত করা হয়েছে। ৬২টি বন্ধ রেলস্টেশন চালু, ৯৩টি নতুন স্টেশন ভবন নির্মাণ, ৩২৯টি নতুন রেলসেতু নির্মাণ, ৬৫৮টি রেলসেতু সংস্কারের কথাও জানানো হয় অনুষ্ঠানে। এ সময়ে ৪৬টি নতুন লোকোমোটিভ কেনা ছাড়াও ৩২০টি যাত্রীবাহী কোচ কেনা হয়েছে এবং আরও ৬৫০টি কেনার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ সময়ে মালবাহী ওয়াগন কেনা হয়েছে ৫১৬টি। এছাড়া সরকারের অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে রেলে দুটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এগুলো হলো পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প এবং দোহাজারী-কক্সবাজার-রামু-ঘুনধুম রেললাইন স্থাপন প্রকল্প।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধের পর বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যেসব রেলসংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, পর্যায়ক্রমে সেগুলো চালু করা হচ্ছেÑ এমন তথ্য দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গেও বাংলাদেশ যেন সংযুক্ত হয়, সে ব্যবস্থাটাও আমরা নিয়েছি। রেলের ডিজিটাইজেশন, দেশের দক্ষিণবঙ্গে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ স্থাপন, ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ট্যুরিস্ট ট্রেন চালু করা, বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশে যমুনার ওপর একটি রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগসহ নানা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
পবিত্র রমজানের মোবারকবাদ এবং ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমি খুব আনন্দিত। আজকে বিভিন্ন সেতু, আন্ডারপাস-ওভারপাস, ফ্লাইওভার উদ্বোধন করব। আমাদের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর তিনি আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করি। দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ সবাই তার জন্য দোয়া করেছেন। ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সে ছাত্র জীবন থেকে রাজনীতি করে যাচ্ছে এবং দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছে। আমি একটি কথা বলতে চাইÑ আমরা যারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ করি তারা শুধু রাজনীতিই করি না, আমরা একটা পরিবার। আমি ছোটবেলা থেকে আমার বাবাকে দেখেছি, মাকে দেখেছি, প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে দেখেছি, আমরা একটা পরিবারের মতো। কিন্তু বড় হয়েছি, এটা হলো বাস্তবতা। কাজেই যখনই কোনো সমস্যা হয়, সুখে-দুঃখে সবসময় আমরা সঙ্গী হয়ে চলি। আমি সেটিই বলব, এভাবেই যেন এ সংগঠনটি এগিয়ে যেতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি। এ স্বাধীনতা অর্জনের জন্য তিনি সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় তিনি উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের মধ্য দিয়ে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার মাত্র সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করা করা হয়। সেই হত্যার ফলে বাংলাদেশের মানুষের স্বাধীন জাতি হিসেবে যে অগ্রযাত্রা ছিল, একটা স্বাধীন জাতি হিসেবে যে মর্যাদা পাওয়ার কথা ছিল বা দেশটা যতটা উন্নত হওয়ার কথা ছিল, সেই উন্নতটা হতে পারেনি; এটাই হচ্ছে আমাদের দুর্ভাগ্য। তিনি বলেন, এরপর ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে। এরপরই দেশের মানুষের জীবনে উন্নয়নের ছোঁয়া আমরা পৌঁছে দিতে পেরেছি। সরকারে আসার পর থেকে জাতির পিতার সেই আদর্শ মাথায় নিয়েই আমরা কিন্তু কাজ করে যাচ্ছি। যার ফলে আজকে দেশের মানুষ তার শুভফল পাচ্ছে।
এজন্য আওয়ামী লীগের প্রতি বিশ্বাস আস্থা ও ভোট দেওয়ায় দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্ধুপ্রতিম উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাসহ সবার সহযোগিতায় বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান বিশ্বটা একটা গ্লোবাল ভিলেজ। আর্থ-সামাজিক উন্নতি করতে হলে সবার সঙ্গে মিলেই চলতে হবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা মনে করি, এ কাজগুলো শুধু আমাদের জন্য নয়, আমাদের আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্যও একটা বিরাট অবদান রাখবে। এ সময় জাপান সরকার, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক থেকে উন্নয়ন সহযোগী সব সংস্থাকে সহযোগিতা করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, জাপানের রাষ্ট্রদূত এইচইমি. হিরোয়াসু ইজুমি। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, মুক্তিযুদ্ধ বিষষক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের পরপরই পঞ্চগড় থেকে ঢাকা পথে রওনা হয় ৮৯৬ আসনের পঞ্চগড় এক্সপ্রেস। সপ্তাহে কোনো বিরতি ছাড়া সাত দিনই চলাচল করবে ট্রেনটি। ঢাকা থেকে ছাড়বে রাত ১২টা ১০ মিনিটে। পঞ্চগড়ে পৌঁছবে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে। আবার পঞ্চপড় থেকে দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে ঢাকায় পৌঁছবে রাত ১০টা ৩৫ মিনিটে।
ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ছেড়ে বিমানবন্দর স্টেশনে সামান্য বিরতি দেবে। এরপর পার্বতীপুর পর্যন্ত বিরতিহীন চলবে। এরপর দিনাজপুর ও ঠাকুরগাঁওয়ে বিরতি দিয়ে পঞ্চগড় স্টেশনে পৌঁছাবে। ভাড়া হবে আন্তঃনগর দ্রুতযান ও একতার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে। শোভন চেয়ার ৫৫০ টাকা, স্নিগ্ধা ১ হাজার ৫৩, এসি সিট ১ হাজার ২৬৩ এবং এসি বার্থ ১ হাজার ৮১২ টাকা। আনুপাতিক হারে পঞ্চগড় ও দিনাজপুরে ৩০ শতাংশ করে এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫ শতাংশ ও পার্বতীপুরে ১৫ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে। চাহিদা বিবেচনায় পর আসন কমবেশি হবে। এ ট্রেন থেকে বছরে ৪০ কোটি টাকা আয়ের আশা করছে রেলওয়ে।
দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুর উদ্বোধন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্বিতীয় মেঘনা সেতু এবং দ্বিতীয় গোমতী সেতু উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতু দুটি উদ্বোধন করেন। খবর বাসসের।
একই সময় প্রধানমন্ত্রী কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কালিয়াকৈর, দেওহাটা, মির্জাপুর ও ঘারিন্দা আন্ডারপাস এবং কাড্ডা-১, সাসেক সংযোগ সড়ক প্রকল্পের আওতায় জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা মহাসড়কে বিমাইল সেতুরও উদ্বোধন করেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী একেএম মোজাম্মেল হক এবং কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমিও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব প্রকল্পগুলোর ভিডিও উপস্থাপনার মাধ্যমে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলতি বছরের ১৬ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর ওপর দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর উদ্বোধন করেন। জাপানি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওবায়সি করপোরেশন, শিমঝু করপোরেশন, জেএফএফ করপোরেশন ও আইএইচআই ইনফ্রা সিস্টেমস কোম্পানি লি. ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতীর সঙ্গে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুর কাজ শুরু করে। এ তিনটি সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয়েছে ৮ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাপানের জাইকা ৬ হাজার ৪৩০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী জাপানের প্রতিষ্ঠানগুলো ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে কাজ শুরু করে এবং ২০১৯ সালের জুনে সম্পন্ন করার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। ২০১৬ সালের জুলাই মাসে হলি আর্টিজান বেকারিতে সন্ত্রাসী হামলার কারণে নির্মাণ কাজ চার মাস বন্ধ থাকে। এ কারণে সরকার নির্মাণ কাজের মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়। এতে সেতু তিনটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ের সাত মাস আগেই সম্পন্ন হয়।
৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৪০০ মিটার দীর্ঘ নতুন কাঁচপুর সেতু নির্মাণ কাজ ২০১৭ সালে শেষ হয়। যথাক্রমে ১ হাজার ৭৫০ কোটি ও ১ হাজার ৯৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন ৯৩০ মিটার মেঘনা ও ১ হজোর ৪১০ মিটার গোমতি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জনসাধারণের ঈদ যাত্রার সুবিধার্থে ৩১ মে কাঁচপুর সেতুর পূর্বাংশের ওভারপাস খুলে দেওয়া হবে।