চাল বিতরণের অনিয়মের প্রতিবাদ করায় বরগুনার নলটোনা ইউনিয়নের তিন জেলেকে কার্যালয়ে ডেকে পিটিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির। নির্যাতনের শিকার জেলেরা চিকিৎসার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপতালে ভর্তি হয়েছেন। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ট্রলার মাঝি টুটুল হোসেন বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যায় চাল নিতে জেলেরা ইউপি কার্যালয়ে আসেন। জেলে প্রতি ১৬০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও ৩০ কেজি করে দুই বস্তায় মোট ৬০ কেজি চাল দেওয়া হয়। এ সময় চেয়ারম্যানের আত্মীয়স্বজনদের কয়েকজনকে পেছন থেকে বস্তা নিয়ে যেতে দেখে প্রতিবাদ করে জেলেরা। চাল নিতে বাধা দেওয়ায় সেখানেই চেয়ারম্যানের লোকজন ট্রলার মাঝি টুটুলের ওপর হামলা করে। এ ঘটনার পর ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর মাঝি টুটুল, দেলোয়ার ও মান্নান মাঝিকে তার কার্যালয়ে ডেকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করেন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর জেলে দেলোয়ার হোসেন বলেন, কার্যালয়ে ডেকে চেয়ারম্যান আমায় এলোপাতাড়ি লাথি দিতে থাকেন। এ ছাড়াও মান্নান মাঝিকেও চেয়ারম্যান পিটিয়ে আহত করেন। দেলোয়ার হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান জেলেদের তালিকায় ব্যাপক অনিয়ম করেছেন। এলাকার প্রকৃত জেলেদের তালিকায় স্থান না দিয়ে নিজের অন্তত অর্ধশতাধিক আত্মীয়স্বজনদের নাম তালিকাভুক্ত করেছেন। এ ছাড়াও জেলেদের ১৬০ কেজি চাল দেওয়ার কথা থাকলেও মাত্র ৬০ কেজি করে চাল বিতরণ করছেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায়ই মূলত তিনি জেলেদের ওপর চড়াও হয়েছেন। এ ব্যাপারে কথা বলতে নলটোনা ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মুঠোফোনের কল রিসিভ করেননি। বরগুনা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) রুবাইয়া তাসনিন বলেন, জেলেদের সহায়তায় অনিয়মের বিষয়টি খোঁজ নেওয়া হবে। কোনো প্রকৃত জেলে তালিকাভুক্ত না হলে তথ্যপ্রমাণসহ অভিযোগ করলে আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব।