সাতক্ষীরার কলারোয়া থেকে গ্রেপ্তারকৃত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যসহ ২১ জনকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- দিয়েছেন জেলা ভ্রাম্যমাণ আদালত। এদের মধ্যে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার পরানখালী গ্রামের আহসান আলির ছেলে আ. হালিমই ঢাকা থেকে প্রশ্নপত্র এনে সাতক্ষীরায় বিক্রি করে। ওই চক্রের অন্যতম সদস্য আফতাবুজ্জামান সাতক্ষীরা তালা উপজেলার সেনেরগাতি জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার, কলারোয়া রামকৃষ্ণপুর প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও আশাশুনির শেতপুর সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম, কলারোয়া কৃষি ব্যাংকের সহকারী অফিসার মনিরুল ইসলাম মনি। এছাড়া র্যাবের হাতে আটককৃত ১৬ শিক্ষার্থী ও তাদের আট অভিভাবক রয়েছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের পাঁচ সদস্যসহ ১৬ পরীক্ষার্থীকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদ- দেন। বাকি আট অভিভাবককে ছেড়ে দেওয়া হয়। র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা ক্যাম্পে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অধিনায়ক লে. কর্নেল সৈয়দ মো. নুরুস সালেহীন ইউসুফ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআইয়ের দেওয়া সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে কলারোয়া পৌর সদরের সোনালি সুপার মার্কেটে অবস্থিত কিডস কোচিং সেন্টারের ব্ল্যাকবোর্ডে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রের উত্তর লিখে দেওয়ার সময় ওই চক্রের দুই সদস্যকে হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তেতে অন্যদের আটক করা হয়। তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানায়, রাজধানী ঢাকায় বসে একটি প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্র ১২ লাখ টাকার চুক্তিতে তাদের কাছে মোবাইল ফোনে প্রশ্ন ও তার উত্তর বলে দেবে। এসব প্রশ্ন ও উত্তর ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। এজন্য সিন্ডিকেটের হাতে অগ্রিম ৫ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। বাকি টাকা পরীক্ষা শেষে দেওয়ার কথা।
