সারা বিশ্বে খুলে গেছে বাণিজ্যের দুয়ার। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে চায় বাংলাদেশ। ২০৩০ সালে মাথাপিছু গড় আয় সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ৬ হাজার ডলার করতে হলে বিনিয়োগ বাড়ানোর বিকল্প নেই বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। তিনি বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সব ধরনের সহযোগিতা নিশ্চিত করছে সরকার।
রোববার অর্থনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ‘বাণিজ্য ও বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন। ইআরএফ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২৪ সালে স্বল্পোন্নত দেশের কাতার থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছাবে বাংলাদেশ। সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে। দেশভিত্তিক বাণিজ্য চুক্তি অথবা এফটিএ করার ব্যাপারেও কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কিছুদিনের মধ্যেই রাশিয়াাসহ পার্শ্ববর্তী কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করা হবে। এর ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের বাজার আরও প্রসার ঘটবে।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রশংসা করে মন্ত্রী বলেন, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাসহ (ডব্লিউটিও) আঞ্চলিক বাণিজ্য জোটগুলোয় বাংলাদেশের অবস্থান এখন সদৃঢ় হয়েছে। বাংলাদেশের ব্যাপারে ডব্লিউটিও’র সদস্যদের উৎসাহ অনেক। সম্প্রতি আমি ডব্লিউটিও প্রোগ্রামে গিযেছিলাম। সেখানে আমাদের আগের থেকে তারা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে। আমাদের আগের অবস্থান এখন আর নেই। ৬৫টি দেশ ওই কনফারেন্সে উপস্থিত ছিল। তারা আমাদের বিষয়ে জানতে আগ্রহী। এলডিসি থেকে উত্তরণে আমাদের কী কী বিষয়ে কাজ করেছে -এসব প্রশ্ন বেশি বেশি এসেছে। এ ধরনের প্রায় ১০০টি প্রশ্ন বিভিন্ন দেশ থেকে করা হয়েছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ কিভাবে এলডিসি দেশগুলোর মধ্যে লিড করেছে। তারপর ওই কনফারেন্সে আমরা আমাদের সমস্যা নিয়েও আলোচনা করেছি। ২০২৪ সালে এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হলে যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বো -সেগুলো উন্নতরণে করণীয় নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন কোন দেশের সঙ্গে আমরা শুল্কমুক্ত চুক্তি করব, কোন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করব -এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সম্প্রতি আমরা চেক রিপাকলিকানদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছি। তারা বাংলাদেশে পাওয়ারসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। আগামী ৩০ তারিখ মস্কো যাচ্ছি। সেখানে ইউরোশিয়ান ইকোনমিক কমিশনের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
ইআরএফের সভাপতি সাইফ ইসলাম দিলালের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরী।