কোপা দেল রেতে টানা পঞ্চম শিরোপার হাতছানি ছিল বার্সেলোনার। অথচ লা লিগা চ্যাম্পিয়নরা ফাইনালে ধরা দিল বড্ড বিবর্ণভাবে। ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ২-১ গোলে হেরে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছে জায়ান্টদের। চ্যাম্পিয়নস লিগে হারের পর শেষ দিকে এমন দুর্দশায় মোটেও বিচলিত নন বার্সা কোচ। বরং বললেন, ‘আমি ভালো আছি।’
ভালভারদের সামনে কঠোর প্রশ্ন ধেয়ে আসতোই। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে লিভারপুলের কাছে হেরে বিদায়ের পর মৌসুমের শেষটাও আরেকটি হার দিয়ে। এমন হারের পর কোচের জন্য ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছেন বার্সেলোনা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তোমিউ। তিনি সরাসরি বলেছেন, অপ্রত্যাশিত হারের দায়টা মোটেও ভালভারদের নয়। বার্সা কর্তৃপক্ষকে পাশে পেয়ে ভালভারদের বেঁচে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। যখন প্রশ্ন করা হলো, সময় আপনার শেষ তখন তার উত্তর ছিলো, ‘আমি ভালো আছি। আপনি যখন জিতবেন স্বাভাবিকভাবে ভালো লাগবে, কিন্তু লিভারপুলের কাছে হেরে গিয়ে অনুভূতিটা হয়তো ভিন্নরকম ছিলো, এমনকি আবার আজকে হেরে গিয়েও।’ আরেকটু হলে দ্বিমুকুট জেতা হয়ে যেত বার্সার। সেভিয়ার মাঠে এদিন কেভিন গামেইরোর গোলে যখন ভ্যালেন্সিয়া এগিয়ে গেলো, তখন বার্সেলোনা ম্যাচের ৯১ শতাংশ বল নিজেদের পায়ে রেখেছিল। শেষ পর্যন্ত রাখে ৭৭ ভাগ। পুরো ম্যাচেই দাপট দেখিয়েও হারতে হয় দলটিকে। কারণ কাজের কাজটিই যে করতে পারেনি তারা। পাল্টা আক্রমণ থেকে প্রথমার্ধেই দুটি গোল আদায় করে নেয় ভ্যালেন্সিয়া। সে দুই গোলের সুবাদে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে কোপা দেল রে’র শিরোপা ঘরে তোলে দলটি। বার্সেলোনার টানা পঞ্চমবার কোপা দেল রে’র শিরোপা ঘরে তোলার কাজটা যে সহজ হবে তা তাদের জানা ছিল আগেই। কারণ লা লিগায় দুইবারের মোকাবিলায় কেউ কাউকে হারাতে পারেনি। ভ্যালন্সিয়ার মাঠে ১-১ গোলে ড্র করার পর ন্যু ক্যাম্পের ফলাফলও ছিল ২-২। বার্সেলোনার হয়ে আগের তিনটি গোলই করেছিলেন মেসি। সেই মেসি গোল দিলেন এদিনও। কিন্তু তার একটি গোল যথেষ্ট হয়নি। ফলে ঘরোয়া ডাবল জয় সম্ভব হয়নি কাতালানদের। অন্যদিকে শেষবার ২০০৭-০৮ মৌসুমে কোপা জিতেছিল ভ্যালেন্সিয়া। এক যুগ পর আবার শিরোপা স্বাদ পেল তারা। এ নিয়ে মোট আটবার কোপা দেল রে জয়ের কৃতিত্ব দেখাল দলটি। ২৮ মিনিটে হোসে গায়ার আড়াআড়ি ক্রসে জোরালো শটে ভ্যালেন্সিয়াকে এগিয়ে দেন কেভিন গামেইরো। ব্যবধান বাড়াতে দলটি সময় নেয় পাঁচ মিনিট। কার্লোস সোলের ক্রসে হেডে বল জালে পাঠান রদ্রিগো। ব্যবধান ধরে রেখে ম্যাচ ঠিকই জিতে নিয়েছে তারা।