জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে রোববার ‘এসডিজি বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ -আলোকিত বাংলাদেশ
সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সারা বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে পরিচিত করেছেন। বিশ্বকে তিনি চমকে দিয়েছেন। হতদরিদ্র বাংলাদেশকে সচ্ছল করেছেন তিনি। দেশের সর্বক্ষেত্রে একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সামগ্রিকভাবে উন্নয়ন সাধন করেছেন। রোববার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সম্মেলন কক্ষে ‘এসডিজি বাস্তবায়নে অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজের গুরুত্ব’ শীর্ষক মতবিনিয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের উদ্যোগ এবং এশিয়া প্যাসিফিক ফোরামের (এপিএফ) সহযোগিতায় এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া অবহেলিত, উপেক্ষিত, বঞ্চিত জনগণের উন্নয়নে কাজ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের অবহেলিত, উপেক্ষিত, বঞ্চিত মানুষের উন্নয়নে যে আন্তরিকতা ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন তা অতুলনীয়। তিনি বলেন, সমাজে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল কাতারে নিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা রয়েছে। শুধু পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী নয়, তিনি সবার আকাক্সক্ষা পূরণে আন্তরিক। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে কৃতজ্ঞ।
সভাপতির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সমাজে পিছিয়ে পড়া লোকদের নিয়েও কাজ করতে হবে। সবাই তো বাংলাদেশের নাগরিক। দেশের নাগরিক হিসেবে পিছিয়ে পড়া লোকেরা সুযোগ-সুবিধা ও অধিকার ভোগ করতে পারছেন না। তার মধ্যে একটি বড় গোষ্ঠী হলো পরিবর্তিত লিঙ্গ (হিজড়া)।
এ ছাড়া শারীরিক প্রতিবন্ধী, এইচআইভিএইচ রোগীও এদের মধ্যে রয়েছে। সমাজে তারা পিছিয়ে রয়েছে।