প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, মালয়েশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের বিরাট শ্রমবাজার। এখন অনেকটা স্থবির অবস্থায় আছে। তবে একেবারে বন্ধ নয়। কেন এই অবস্থা সেটা নিয়ে কাজ করতে হবে। আমি আশাবাদী মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার চালু হবে। রোববার রাজধানীর ইস্কাটন গার্ডেনের অ্যাবাকাস কনভেনশন সেন্টারে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় ও ইফতার মাহফিলে তিনি এ কথা বলেন।
দেড় লাখ টাকার মধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাতে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগে সরকার নির্ধারিত (১,৬০,০০০) টাকার চেয়ে অনেক বেশি নেওয়া হয়েছে কর্মীদের কাছ থেকে। ৪ লাখ ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়েছে।
এবার সেটা যেন না হয়, সে লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে একটি দল মালয়েশিয়া যাবে। সেখানে তারা জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে যোগ দিবে। এ বৈঠকে মালয়েশিয়া শ্রমবাজার চালুর বিষয়ে ভালো খবর আসতে পারে বলেও আশা করেন তিনি। সৌদির শ্রমবাজারকে গতিশীল করতে ঈদের পর সে দেশের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হবে জানিয়ে ইমরান আহমদ বলেন, ঈদের পরে সৌদি থেকে প্রতিনিধিরা আসবেন। তাদের সঙ্গে জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে সৌদির শ্রমবাজার নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কেউ আমাদের জন্য কিছু করে দিবে না। আমাদের নিজেদের করে নিতে হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমি অনেক দেশে ঘুরেছি। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে অনেক সমস্যা আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। সেগুলো সমাধানে নিয়ে যাওয়া আমার দায়িত্ব। প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি শ্রমিকদের বাঁচার দায়িত্ব নিয়েছি, মারার দায়িত্ব নেইনি। প্রত্যেকটি উপজেলা থেকে বিদেশি কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে সরকারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমি মন্ত্রণালয়ে যোগ দেওয়ার পর একটা লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছি যে, প্রত্যেকটি উপজেলা পর্যায় থেকে বিদেশে কর্মী পাঠাতে হবে। এটা আমাদের নির্বাচনি ইশতেহার। আমরা কতদূর এগিয়ে আছি বা কোথায় আটকে আছি, এটা আমাদের বিবেচনায় আনতে হবে। মালয়েশিয়ায় কয়েকটি রিক্রুটিং এজেন্সি থেকে পাঠানো কর্মীরা কাজ পাচ্ছে না, মানবেতর জীবনযাপন করছেÑ এমন প্রশ্নে প্রতিমন্ত্রী বলেন, লিখিত অভিযোগ পাননি তিনি। কেউ লিখিত অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রতারিত কর্মীরা হাইকমিশনে গিয়ে অভিযোগ করেছে, গণমাধ্যমে সংবাদ হয়েছে, সচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। তখন প্রতিমন্ত্রী আর এ বিষয়ে আলোচনা বাড়াননি। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বায়রা সভাপতি বেনজির আহমেদ, মন্ত্রণালয়ের সচিব রৌনক জাহান, অতিরিক্ত সচিব মুনিরুছ সালেহীন, বিএমইটির ডিজি সেলিম রেজাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।