আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৮-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

হাসি নেই কৃষকের মুখে

মো. আজিনুর রহমান লিমন
| চিঠিপত্র

কৃষিপ্রধান দেশ আমাদের এই বাংলাদেশ। কৃষক মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলান। প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতো ভয়াবহ সমস্যা সামনে রেখেও হাজার হাজার টাকা বিনিয়োগ করে কৃষক ফসল ফলানোর কাজে নির্দ্বিধায় নেমে পড়েন। 
কৃষকের সব কষ্ট দূর হয়ে যায় গোলা ভরা ধান দেখে। মুখে রঙিন হাসি ফোটে সোনালি ফসল দেখে। কিন্তু সে হাসি মøান হয়ে যায় ধান বিক্রি করতে গিয়ে। উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে ধান বিক্রি করতে বাধ্য হয়ে শোকে পাথর হয়ে যাচ্ছেন কৃষক। ধানের ন্যায্যমূল্য না পেলে কৃষক কী নিয়ে বাঁচবেন। চলতি মৌসুমে কৃষকের মুখের তরতাজা হাসি কেড়ে নিয়েছে বর্তমান বাজার। উৎপাদন খরচের অর্ধেক দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। ১ কেজি গরুর মাংসের চেয়েও কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রমের কষ্টার্জিত উৎপাদিত ফসলের দাম কম। মাত্র ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে ধান বিক্রি করতে কৃষকের চোখের জল টলমল করছে। অসহায় ও নিরুপায় হয়েই কৃষককে অল্প দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে। লেবারের পারিশ্রমিক দিতেই ফসলের সব ধান বিক্রি করতে হয়। কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, তবেই পাব সোনার বাংলাদেশ। কিন্তু সেই কৃষকই যদি না বাঁচে তাহলে সোনার বাংলাদেশ কীভাবে গড়ব। কৃষক বাঁচানোর  উদ্যোগ যদি সরকার গ্রহণ না করে তাহলে কৃষকের আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। বর্তমান সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার ঘোষণা দিলেও তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। গুটিকয়েক জেলায় জেলা প্রশাসক সরাসরি ধান কেনার উদ্যোগ নিলেও তা ছিল যৎসামান্য। উত্তরবঙ্গের নীলফামারী জেলাসহ অন্যসব জেলায় সরকারি উদ্যোগে ধান কেনার ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষক বাঁচানোর মহৎ উদ্যোগ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

 মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়া পাড়া, ডিমলা, নীলফামারী