আজ থেকে পাঁচ বছর আগে এই প্রজন্মের শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী মুহিন খান নিজের গানে নিজেই সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে একজন সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর থেকে একজন গায়কের পাশাপাশি একজন সংগীত পরিচালক হিসেবেও মুহিনের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। একের পর এক ভালো ভালো গান তিনি শ্রোতা দর্শককে উপহার দিয়ে যাচ্ছেন। এবার মুহিনের সুর ও সংগীত পরিচালনায় দুটি ভিন্ন গানে কণ্ঠ দিয়েছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সৈয়দ আবদুল হাদী ও নন্দিত কণ্ঠশিল্পী ফাহমিদা নবী। আবদুল হাদী গেয়েছেন ‘দখিনা বাতাস’ এবং ফাহমিদা নবী গেয়েছেন ‘শ্রাবণ এলে’। দুটি গানই লিখেছেন জামাল হোসেন। গান দুটির ভয়েজ নেওয়ার পর গেল ২৬ মে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মিউজিক ভিডিও নির্মাণে অংশ নেন সৈয়দ আবদুল হাদী ও ফাহমিদা নবী। মুহিন খানেরই সার্বিক তত্ত্বাবধানে আবদুল হাদী ও ফাহমিদা নবী মিউজিক ভিডিও নির্মাণে অংশ নেন। সৈয়দ আবদুল হাদী বলেন, ‘দেখতে দেখতে আমাদের মুহিন এখন সংগীত পরিচালক হিসেবেও বেশ ভালো করছে, বিষয়টি বেশ ভালো লাগার। মুহিন যে এত চমৎকার সুর করতে জানে তা আমার ভাবনায় ছিল না। দখিনা বাতাস গানটির কথাও অসাধারণ লিখেছেন জামাল হোসেন। গানের কথা, সুর-সংগীতায়োজন আমার মনে ধরেছে। আশা করছি শ্রোতাদেরও মন ছুঁয়ে যাবে। মুহিনের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।’ মুহিনের সুর-সংগীতে কাজ করা প্রসঙ্গে ফাহমিদা নবী বলেন, ‘আমার মনে পড়ে গানটি যখন রেকর্ড করেছিলাম, তখন গানটি হাতে পেয়েই আমার মন ভালো হয়ে গিয়েছিল। জামাল হোসেন ভাই অসাধারণ একটি গান লিখেছেন। একটি গান গাওয়ার শুরুতেই যখন মন ভালো হয়ে যায় তখন শিল্পীও চেষ্টা করেন ভালোভাবে গান গাইতে। মুহিন সত্যিই অসাধারণ সুর করেছে। আমার খুব ভালো লেগেছে। আমি আশাবাদী।’ মুহিন খান বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় সৈয়দ আবদুল হাদী আমার সংগীত পরিচালনায় গান করেছেন, এটা আমার পরম সৌভাগ্য। তিনি আমাকে খুব স্নেহ করেন, তিনি আমাদের দেশের গানের গর্ব। তার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ফাহমিদা আপা তো আমার গানের গুরু।