নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বুড়িগঙ্গার তীরে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা একটি তিন তলা ভবন, দুইটি একতলা পাকা ভবনসহ ৬০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। এ সময় জব্দকৃত বালু ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করে দিয়েছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের একটি সেতু নির্মাণের কাজও বন্ধ ঘোষণা করা হয়। দুই দিনব্যপী অভিযানের দ্বিতীয় দিনে সোমবার সকাল থেকে বিকাল ৩টা অবধি বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে উচ্ছেদ অভিযানটি পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক সাইফুল হক, উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম রেজা, নূর হোসেন, উপসহকারী প্রকৌশলী আজিজুর রহমান প্রমুখ। এ সময় দুইটি এক্সাভেটর (ভেকু), দুইটি উচ্ছেদকারী জাহাজ, একটি টাগবোট, বিপুলসংখ্যক পুলিশ, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম রেজা জানান, ফতুল্লা লঞ্চঘাট থেকে দাপা পর্যন্ত নদীর তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ সময় একটি তিনতলা ভবন, দুইটি একতলা ভবন, ১৫টি আধাপাকা ভবন, ৩৯টি টিনশেড ঘর, তিনটি বাউন্ডারি দেওয়ালসহ সর্বমোট ৬০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এছাড়া ১ একর জমি অবমুক্ত করা হয়েছে। এ সময় জব্দকৃত বালু ৫ লাখ ৭৩ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়। এছাড়া কেরানীগঞ্জের কান্দাপাড়া এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ’র অনুমোদন ছাড়াই বুড়িগঙ্গা নদীর ৩০০ ফুট অভ্যন্তরে বক্স কালভার্টের মাধ্যমে ব্রিজ (সেতু) নির্মাণ করছিল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার ওই সেতুটির নির্মাণ কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান জানান, নদীর নির্ধারিত সীমানার অভ্যন্তরে যারা অবৈধভাবে দখল করে আছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে বুড়িগঙ্গা তীরের সব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে। প্রসঙ্গত, এর আগে অভিযানের প্রথম দিন রোববারে ফতুল্লার বালুরঘাট থেকে খেয়াঘাট পর্যন্ত অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটি কর্তৃপক্ষ। ওই সময় জব্দকৃত বালু ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়।
