বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে দায়ের করা রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষভুক্তি অনুমতি দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ এ অনুমতি দেন। একই সঙ্গে আজ এ রিটের শুনানি ধার্য রেখেছেন আদালত। এ মামলায় খালেদা জিয়ার পক্ষে অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং দুদকের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান।
২১ মে খালেদা জিয়ার পক্ষে ওই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। আইনি নোটিশে বলা হয়, ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোনো বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এ প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। একই সঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেওয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধিতে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। এভাবে আদালত স্থানান্তর করে সরকার সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। সুতরাং ওই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে প্রত্যাহার হওয়া উচিত। নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।