মৌলভীবাজারের বড়লেখায় পৈতৃক বাড়ি থেকে সোমবার ভোররাতে এক নারী আইনজীবীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত আবিদা সুলতানা (৩২) বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ উত্তর ইউপির মাধবগুল গ্রামের মৃত আবদুল কাইয়ুমের মেয়ে। তিনি মৌলভীবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের আইনজীবী ও বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন। এ ঘটনায় এক যুবককে আটক করা হয়েছে। আটক তানভীর আহমদ (৩৫) ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া। সোমবার দুপুরে শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা মাদ্রাসার পাশের একটি বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। নিহত আবিদার স্বামী শরীফুল ইসলাম একটি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত।
এদিকে আইনজীবী আবিদা হত্যার প্রতিবাদ এবং তার খুনির ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলার আইনজীবীরা। সোমবার মৌলভীবাজার আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে কোর্ট বর্জন, আদালত চত্বরে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। পরে আইনজীবী সমিতির সভাপতি এএসএম আজাদুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং অ্যাডভোকেট কামরেল আহমেদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শান্তপদ ঘোষ, অ্যাডভোকেট রমাকান্ত দাস গুপ্ত, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মিজান, অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল, অ্যাডভোকেট ডাডলি পেন্ট্রেস, অ্যাডভোকেট তপন পাল তনু ও অ্যাডভোকেট আলতাফুর রহমান সুমন প্রমুখ।
আবিদার খালাতো বোন শিমুল চৌধুরী বলেন, আবিদার ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ মা তার মেঝ মেয়ের বাড়ি বিয়ানীবাজারে থাকেন। আর আবিদার পৈতৃক বাড়িতে তাদের পরিবারের কেউ না থাকায় উপজেলার চরকোনা গ্রামের মনির আলীর ছেলে তানভীর ভাড়া থাকতেন। তিনি বড়লেখা উপজেলার মাদবকুল জামে মসজিদে ইমামতি করতেন। তিনি আরও বলেন, রোববার আবিদা বিয়ানীবাজারে বোনের বাড়ি থেকে মৌলভীবাজার যাওয়ার কথা বলে বের হয়। সন্ধ্যার পর থেকে তাকে আর পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে আবিদার বোনরা তাকে খুঁজতে বাবার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে তারা আবিদাকে পাননি, কিন্তু বাড়ির একটি ঘর তালাবদ্ধ দেখে তাদের সন্দেহ হয়। পরে তারা তালা ভেঙে ঘরের ভিতরে মেঝেতে বোনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়াছিনুল হক জানান, নিহতের মাথায় ও গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনার পর তানভীর পালিয়ে যায়। পরে গোপনে খবর পেয়ে শ্রীমঙ্গল বরুনা মাদ্রাসা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। এ হত্যাকা-ের সঙ্গে তানভীর জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
