আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৮-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

চুয়াডাঙ্গায় তরমুজে বেড়েছে কৃষকের আস্থা

রাজন রাশেদ, চুয়াডাঙ্গা
| সুসংবাদ প্রতিদিন

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ। লাভজনক হওয়ায় তরমুজ চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষক। অনেকে আগাম চাষ করে রমজান মাসের শুরু থেকে এ রসালো ফল বাজারজাত শুরু করেন। বাজার দর ভালো পাওয়ায় খুশি তারা। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, গেল বছর উপজেলায় ৩৬ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছিল। এবার ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে, যা গেল মৌসুমের তুলনায় ১০ হেক্টর বেশি। উপজেলার হৈবতপুর, মদনা, কামারপাড়া, বাড়াদী, বিষ্ণুপুর, নতিপোতা গ্রামের মাঠে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে সীমান্তবর্তী বাড়াদী, মদনা ও হৈবতপুর গ্রামের মাঠে এর চাষ সব থেকে বেশি। দামুড়হুদার মদনা গ্রামের খাজের আহাম্মেদের ছেলে আলতাফ হোসেন জানান, তিনি সীমান্তবর্তী বাড়াদী গ্রামের মাঠে ১ বিঘা জমিতে মাচা পদ্ধতিতে গ্রীষ্মকালীন তরমুজ চাষ করেন। বীজ রোপণ, পরিচর্যা, সার, মাচা, সেচ মিলিয়ে তার খরচ হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। প্রথম রোজা থেকে কেজি প্রতি ৫০ টাকা ও পিচপ্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বিক্রি শুরু করেন তিনি। এরই মধ্যে তার ১০ কাঠা জমিতে ৮০ হাজার টাকার ফল বিক্রি হয়ে গেছে। ১০ থেকে ১২ দিনের মধ্যে বাকি ১০ কাঠা জমির তরমুজ বিক্রি শেষ হবে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ না হলে আরও ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকার বিক্রি হবে এ ফসল। ৬০ দিনের এ ফসলে তিনি লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন বলে আশা করছেন। একই কথা বললেন মদনা গ্রামের জালাল উদ্দীন, তিনি ১০ কাঠা জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করে ৭৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। তিনি আরও ১ বিঘা জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। কোনো প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এতে ও লাভবান হবেন বলে তিনি আশা করছেন। 
দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিউর রহমান জানান, তরমুজ খুবই অল্প সময়ের চাষ। আর এ ফসল চাষ করে চাষিরা লাভবান হচ্ছেন। বেলে-দোঁআশ মাটিতে এ ফসল ভালো হয়ে থাকে। সাধারণত এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে রোপণ করার উপযুক্ত সময়। আমাদের এলাকার মাটি তরমুজ চাষের জন্য উপযোগী। এ মৌসুমে যেসব চাষি আগাম চাষ করেছে, তারা অধিক লাভবান হয়েছেন। আমাদের এলাকায় আগে এ চাষ না হলেও বর্তমানে এলাকার কৃষক তরমুজ চাষে আগ্রহ প্রকাশ করছেন।