আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৮-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

‘২০০ মিনি পেডি সাইলো হবে’

| প্রথম পাতা

নওগাঁ প্রতিনিধি : ধানের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে সরকার সারা দেশে ২০০টির মতো স্টিলের মিনি পেডি সাইলো (ধান সংরক্ষণাগার) তৈরি করতে যাচ্ছে। কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান ক্রয় করে এ সাইলোতে সংরক্ষণ করা হবে। প্রতিটি সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৫ হাজার টন পর্যন্ত হবে। সাইলোতে রাখা ধান দুই থেকে তিন বছর সংরক্ষণ করা যাবে। নওগাঁ সদর উপজেলার খাদ্য গুদামে ধান-চাল ক্রয়ের উদ্বোধনের সময় খাদ্যমন্ত্রী বাবু সাধন চন্দ্র মজুমদার সোমবার সাংবাদিকদের কাছে এ বিশেষ ব্যবস্থার কথা জানান। এ সময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। 
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, শিগগিরই এ সংক্রান্ত ডিপিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। বিশেষায়িত এসব সাইলো নির্মাণ হলে চালের পাশাপাশি সরকার আরও ১০ লাখ মেট্রিকটন ধান সংরক্ষণ করতে পারবে। দেশের বর্তমান বোরো ধানের ক্লান্তি লগ্নে ধান সংরক্ষণাগারের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় সরকার আপাতত ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারছে না। তিনি জানান, ধান থেকে চাল বানাতে এলাকাভেদে পাঁচটি অটো রাইস মিল স্থাপন করা হবে, যাতে প্রয়োজনে ওই পেডি সাইলো থেকে ধানগুলো দ্রুত নিয়ে চাল তৈরি করা সম্ভব হয়। চাল কল মালিকদের ওপর থেকে নির্ভরতা কমাতেই সরকার এ ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। 
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কৃষকের উৎপাদিত ধানের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হলে কৃষকের কাছ থেকেই সরাসরি ধান কিনতে হবে। কিন্তু আমাদের ধান সংরক্ষণের কোনো গুদাম নেই। যেগুলো আছে, তা সবই চালের গুদাম। ধান সংরক্ষণের জন্য স্টিলের মিনি পেডি সাইলো নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। বিষয়টি নিয়ে অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে। এ পেডি সাইলো কবে নাগাদ তৈরি শুরু করা হবেÑ এ নিয়ে মন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, কোনো ধরনের সমস্যার সৃষ্টি না হলে আগামী ইরি-বোরো মৌসুমের আগেই আমরা ১০০টি পেডি সাইলো নির্মাণ করতে পারব। এ সাইলো তৈরির পর বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সরকারি তালিকাভুক্ত প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে এ ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকের তালিকা না পাওয়ায় অনেক স্থানে ধান কিনতে পারছেন না খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তারা।