প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ে কৃষকের মঙ্গল, টেকসই প্রভাব, প্রত্যাশা ও ফলাফল বিবেচনা করে গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার তাগিদ দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। একই সঙ্গে কৃষি যান্ত্রিকীরণকে অগ্রাধিকার ভিত্তিক খাত হিসেবে বিবেচনা করে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও সততার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশও দিয়েছেন তিনি।
মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মাসিক এডিপি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম সভা। কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সঞ্চলনায় সভায় মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভবিষৎ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। ডালের উৎপাদন ভালো হয়েছে, বিশেষ করে পটুয়াখালী জেলায় মোট জাতীয় উৎপাদনের তেলের ক্ষেত্রে আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে আনার জন্য সারা দেশব্যাপী বৃহৎ প্রকল্প গ্রহণের কথা উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী। এছাড়া প্রকল্প গ্রহণের ফলে কী কী পরিবর্তন এসছে এবং উৎপাদনের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরতে হবে। যে কারণে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, তা কতটুকু পূরণ হয়েছে এবং আরও কী কী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিতÑ তা উল্লেখ করতে হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭২টি প্রকল্পে ১ হাজার ৮০৬ কোটি টাকা বরাদ্দের বিপরীতে ১ হাজার ৩৫৭ কোটি টাকা অবমুক্ত করা হয়েছে। বৃহৎ বরাদ্দ প্রাপ্ত ৩৩টি প্রকল্পের অনুকূলে মোট ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়, এপ্রিল পর্যন্ত মোট ব্যয় হয়েছে ৯০৬ কোটি টাকা। এপ্রিল পর্যন্ত প্রকল্পের মোট জাতীয় গড় অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এডিপির পুরো ও প্রকল্প বাস্তবায়নের তাগিদ দেন মন্ত্রী।
বছরব্যাপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪০০ কেজি কেসুনাট বীজ আমদানির জন্য ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও ভারত এসব দেশ থেকে ভালো বীজ সংগ্রহের কথা বলেন মন্ত্রী। সরাসরি কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়Ñ এমন কোনো প্রকল্প যেন গ্রহণ করা না হয়, বললেন কৃষিমন্ত্রী।