রাজধানীর বসুন্ধরার লেভেল-৭ এর অ্যাপেক্স জুতার শোরুমে রুপালি ছোট খাঁচায় চকচকে জুতা দেখছেন একজন ক্রেতা ষ আলোকিত বাংলাদেশ
পাখির খাঁচায় জুতা। রূপালী ছোট খাঁচায় চকচকে জুতা দেখে সবারই কৌতূহলী দৃষ্টি। বসুন্ধরার লেভেল-৭ এর এ্যাপেক্স জুতার শোরুমে শুধু দর্শক আকৃষ্ট করার জন্যই এ ধরনের প্রদর্শনী। ঈদের বাজার ধরার জন্য এবার এ ধরনের অনেক চমক রয়েছে ক্রেতাদের জন্য। বসুন্ধরার ফ্রিল্যান্ডে বিকাশে কেনাকাটা করলেই ছাড় ২০ শতাংশ। লোট্টোতে জুতা কিনলেই ৫০০ টাকা ছাড় বলে জানান বিক্রয়কর্মীরা। তবে তা শুধু বসুন্ধরার জন্যই। বসুন্ধরার এ্যাপেক্সে মেয়েদের হাইহিল বিক্রি হচ্ছে বেশি। দাম ৩ হাজার ২০০ টাকা। আর খাঁচার ভেতরের জুতাটির দাম ৩ হাজার ৪০০ টাকা। এবার মেয়েদের জুতা ও স্যান্ডেলে জরি ও পৃঁথির কাজের আধিক্য থাকলেও ডিজাইনে এসেছে ছিমছামভাব। খুব বেশি রংচং নেই। বরং এবার পুরুষের জুতায় রঙের ঘনঘটা বেশি। শিশুদের জুতায় জরি ও চুমকির কারুকাজ ক্রেতাকে আকৃষ্ট করছে।
বসুন্ধরার এ শোরুমে বিখ্যাত জুতা এ্যালবার্ট, হরাডো নাথানের জুতাও রয়েছে। ফ্রিল্যান্ডে লেডিস সু ৪ হাজার ২৯০ টাকায় ভালোই বিক্রি হচ্ছে। মৌচাকের পাশের এ্যাপেক্সে শোরুমে দাম কিছুটা সহনীয়। ৮০০ থেকে শুরু করে ১ হাজার ২০০ টাকা। ধানমন্ডির মেট্টো শপিংমলের অরনো সুজে শিশুদের জুতার বিরাট কালেকশন। পাশের ধানমন্ডি এন্টারপ্রাইজেও রয়েছে শিশুদের জুতা। ঢাকার সবচেয়ে বড় জুতার বাজার এলিফ্যান্ট রোডে গায়ে গায়ে ভিড়। দুই দিন সরকারি ছুটির দিন হওয়ায় ভিড় ছিল প্রচ-।
নারী, পুরুষ ও শিশু সব ধরনের ক্রেতার ভিড়ে বাজার ছিল জমজমাট। এখানকার বিগবস নামের দোকানে স্যালোলাই নামে মেয়েদের জুতোয় রয়েছে পাথরের বুনট কাজ। পাশের ফ্যালকন নামের দোকানেও ছিল ক্রেতাদের জটলা। বিক্রয়কর্মী বিরক্ত হয়ে জানান, কেনার চেয়ে দেখার মানুষই বেশি। বর্ণালী সুজে নতুন এসেছে থাইল্যান্ডের লেডিস জুতা। এটা অবশ্য বিক্রেতার দাবি। তিনি জানান, তার দোকানের সব জুতাই থাইল্যান্ডের। বেশ উঁচু হিলের একটি জুতা হাতে নিয়ে দেখছিলেন নীলক্ষেত থেকে আসা সুরাইয়া। দাম বেশি বলে পচ্ছন্দ হলেও নিতে পারছেন না। দাম ২ হাজার ২০০ টাকা। মিস সুজে রয়েছে পুঁতির কারুকাজ করা মেয়েদের স্যান্ডেল। দাম এক হাজার টাকা। এ দোকানেই ছেলেদের জুতা লোফারের দাম ২ হাজার ৫০০ টাকা। এবার পুরুষের জুতায় রঙের বাহার। বাজারজুড়ে হলুদ, সবুজ, ডট ছাপের জুতার ছড়াছড়ি। লোফারের রংও লালচে। স্প্যান নামের দোকানে স্প্যান জুতা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০ টাকায়। সাইনিতে রয়েছে চাইনিজ জুতা ঝি য়ানি ডা। দাম ১ হাজার ১০০। শিশুদের জুতার দাম বেশি বলে দুঃখ প্রকাশ করেন চকবাজারের বাসিন্দা রশিদ ও তার স্ত্রী।জানান, চার বছরের মেয়ের জুতা কিনেছেন ১ হাজার ১০০ টাকা দিয়ে।
মোহম্মদপুরের টোকিও শপিংমলের ৪ তলায় রয়েছে এ্যাপেক্সের শোরুম। এখানে মেয়েদের জুতার দাম ১ হাজার থেকে ৬ হাজারের মধ্যে। মোচি লেডিস কোলজ সু ২ হাজার ৫৯০ টাকা। হাই হিল সংস্করণ ৩ হাজার ১৯০ টাকা। নিনো রসি নামের স্যান্ডেল ১ হাজার ৭৯০ টাকা। এ্যাপেক্সে ছেলেদের জন্য রয়েছে মোভিরিক, দাম ২ হাজার ৯৯০ টাকা। বুট ৪ হাজার ৯০০ টাকা। দোকানি জানান, বেশি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৯০০ টাকা দামের জুতাটি। স্যান্ডেলের দাম ৫০০ টাকা।
এ মার্কেটের বাটায় ৯৫০ থেকে ৮ হাজার টাকা দামের জুতা রয়েছে। মেয়েদের হিল ৩ হাজার ৫৯৯ টাকা। স্নিকারাস ৩ হাজার ৯৯৯ টাকা ও পার্টি স্যান্ডেল ২ হাজার ৯৯৯ টাকা। ছেলেদের জুতার দাম ২ হাজার ৫৯৯ ও ১ হাজার ৫৯০ টাকা।
ফ্যাশন হাউস আড়ংয়ের জুতার কদর বিলাসীদের কাছে বছরভরই থাকে। এখানকার ব্রাউন লেদার স্যান্ডেল কিনলেন লালমাটিয়ার মারিয়া। দাম ১ হাজার ৮২২ টাকা। নারী বিক্রেতা জানান, ডাস্টি পিংক ভেলভেট হিলের চাহিদা বেশি। দাম ১ হাজার ৫৩১ টাকা।
মোহম্মদপুরের বেড়িবাঁধের শিকদার সুজে জুতা কিনতে এসেছে বসিলার বাসিন্দা ইকবাল। সে মোহম্মদপুরের কেন্দ্রীয় কলেজে পড়ে। তিনি এক জোড়া সেন্ডেল কিনলেন ৮০০ টাকা দিয়ে।