তিস্তা নদীর ডান তীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দীর্ঘ ৩৪ বছর পর সংস্কার করা হচ্ছে। ভাঙনের হাত থেকে রংপুরকে রক্ষার জন্য ১৯৭৪ সালে এটি নির্মাণ করা হয়। প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটির সর্বশেষ সংস্কার করা হয় ১৯৮৫ সালে। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় বাঁধের ওপর গড়ে উঠতে থাকে একের পর এক অবৈধ বসতি। এতে করে বাঁধটির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়ায় সংস্কারের কাজ শুরু করে রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিস সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে বাঁধটি অরক্ষিত থাকায় নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শোলমারী ও রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার নোহালী থেকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার নীচপাড়া পর্যন্ত এ বাঁধের বেশির ভাগই অবৈধ দখলদারের কবলে চলে যায়। বাঁধের ওপর গড়ে ওঠে ২ হাজার বসতঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হুমকির মুখে পড়ে পুরো বাঁধ। বাঁধ হুমকির মুখে পড়ায় ৩৪ বছর পর গেল বছরের ১৯ নভেম্বর বাঁধটির পুনরাকৃতিকরণ ও সংস্কারের কাজ শুরু হয়। ১৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৮ জুন এ সংস্কার কাজ শেষ হবে। ভবিষ্যতে বাঁধের ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল ও নদী ড্রেজিং করে দুই পাড় সংরক্ষণে চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না পাওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।