আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ২৯-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

‘মে-র পদত্যাগে সম্পর্কে প্রভাব পড়বে না’

| প্রথম পাতা

সিলেট ব্যুরো : বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র পদত্যাগে বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না। তিনি বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান থাকবে; দিনে দিনে এ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ব্রিটিশ হাইকমিশনার মঙ্গলবার সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়রের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। 
ব্রিটিশ হাইকমিশনার ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওয়ার্ল্ড কাপ ক্রিকেট প্রসঙ্গে বলেন, ওয়েলসে অনুষ্ঠেয় ৮ জুনের ম্যাচ ছাড়া তিনি প্রতিটি ম্যাচে বাংলাদেশের সাপোর্টার থাকবেন। বাংলাদেশ ও ইংল্যান্ডের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল হলে তিনি খুশি হবেন বলে জানান হাইকশিনার। এর আগে মঙ্গলবার দুুপুরে হাইকমিশনার নগর ভবনে মেয়র আরিফুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় ব্রিটিশ হাইকমিশনার নগরীর বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে মেয়রের কাছ থেকে অবহিত হন। মেয়র জানান, দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করায় তিনি ডোবা ও নালা উদ্ধারের মাধ্যমে নগরীকে শতভাগ জলাবদ্ধতামুক্ত করতে পারবেন। নগরীকে যানজটমুক্ত করারও চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। 
সিলেটকে ভূমিকম্পপ্রবণ এলাকা উল্লেখ করে মেয়র আরিফুল হক বলেন, এ অনুযায়ী নগরীর উন্নয়ন কাজ করা হচ্ছে। মেয়র জানান, নগরবাসীকে সার্বিক সেবা দিতে নগর এক্সপ্রেস নামের বাস সার্ভিস চালু করা হচ্ছে। নগরীতে আন্ডারগ্রাউন্ড বিদ্যুৎলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে; শিক্ষার উন্নয়নেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সিলেটে বিভিন্ন ধর্মের লোকজনের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিদ্যমান। সরকারি দলের লোকজনের কাছ থেকে কী ধরনের সহযোগিতা পাচ্ছেনÑ এ প্রশ্নের জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সিলেট সিটি করপোরেশনের উন্নয়নের ব্যাপারে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন। বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেনও তাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করে চলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সিলেটের উন্নয়ন করতে চাই।’ মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট নগরীর মাস্টারপ্ল্যানসহ অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্রিটিশ সরকারের টেকনিক্যাল সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিষয়টি ভেবে দেখবেন বলে মেয়রকে আশ্বস্ত করেন।