লোকসভা নির্বাচনে ফল খারাপ হাওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের নেতাকর্মীদের দল ছাড়ার হিড়িক চোখে পড়ে। নেতাকর্মীদের এ দলবদল নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল। দলের নেতা ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, একটি দল কিছু আসন পেয়েছে বলেই সেখানে যারা যোগদান করছে, তারা আদর্শের রাজনীতি করে না। আদর্শ থাকলে জীবন দিয়ে দেওয়া যায়। জাহাজ ঝড়ে পড়লে ইঁদুরই সবার আগে সঙ্গ ছাড়ে। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, এ যোগদান মানসিকভাবে যোগদান করা নয়। ওটা আলাদা জিনিস আর রিভলভারের ভয়ে যোগদান করা আরেক জিনিস। আমরা মমতা ব্যানার্জির দল। আমরা কী পারি, সেটা ২০২১ সালে দেখিয়ে দেব। এরই মধ্যে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন মুকুল রায়ের ছেলে শুভ্রাংশু রায়। একই সঙ্গে আরও দুই বিধায়ক এবং চারটি পৌরসভার বেশির ভাগ কাউন্সিলরও বিজেপি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার ভাটপাড়া নৈহাটি, কাঁচরাপাড়া এবং হালিশহর পৌরসভার তৃণমূল কাউন্সিলররা দলবদল করেছেন। বেশি সংখ্যায় কাউন্সিলররা শিবির বদল করায় এসব পৌরসভার দখল বিজেপির হাতে চলে আসবে বলে দাবি দলীয় নেতা মুকুলের। একসময়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জির ‘ডানহাত’ বলে পরিচিত ছিলেন মুকুল। তবে সময়ের পরিক্রমায় মমতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়লে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল।
দলবদল করেছেন বীজপুরের তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়, বিষ্ণুপুরের বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়। বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয় বলেন, পশ্চিমবঙ্গে একটি সভায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ৪০ জন তৃণমূল বিধায়ক আমদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তখন তৃণমূল সংসদ সদস্য ডেরেকও ব্রায়েন বলেছিলেন, বিধায়ক তো কোন ছাড়, একজন কাউন্সিলরও দল বদল করবেন না। কিন্তু এখানে ৫০ জনের বেশি কাউন্সিলর আছেন। বিধায়ক আছেন তিনজন। আগামী মাস থেকে আরও অনেকে যোগ দেবেন বিজেপিতে। তিনি বলেন, প্রতি মাসে আলাদা আলাদা করে এ ধরনের কর্মসূচি হবে। কৈলাশ বলেন, আমরা চাই ২০২১ সালেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সরকার হোক। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা যাতে তার মেয়াদ পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকেন, তার জন্য আমাদের শুভ কামনা রইল। এনডিটিভি