আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

নতুন মন্ত্রিসভা গঠনে তৎপরতা

ম্যারাথন বৈঠকে মোদি-শাহ

আলোকিত ডেস্ক
| আন্তর্জাতিক

সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্য পাওয়ার পর নিজের মন্ত্রিসভা গঠনের ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নিতে চলেছেন তিনি। তার সঙ্গেই শপথ নেবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। এই মন্ত্রিসভায় কারা কারা জায়গা পাবেন তা ঠিক করতেই মঙ্গলবার বিজেপি সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে ৫ ঘণ্টা বৈঠক করেন মোদি। এবারে বিজেপির জয়ের পর থেকেই শোনা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে চলেছেন অমিত শাহ। কিন্তু দলের একাংশ মনে করছেন, এমনটা হবে না। এটা শুধুই ‘গুজব’।

বিজেপির এক নেতার কথায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি ক’দিন আগে পার্লামেন্টের সেন্ট্রাল হলে বলে দিয়েছেন, মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য একটি নির্দিষ্ট নিয়ম আছে, তার ভিত্তিতেই সব হবে। সবাইকে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়। জাতপাতের সমীকরণ, বিভিন্ন রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব ইত্যাদি মাথায় রেখেই গড়া হবে মন্ত্রিসভা। এর সঙ্গেই শরিকদেরও গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেওয়া হবে। পুরোনো অনেক মুখও থাকছে। কিন্তু আসল প্রশ্নটি হলো, অমিত শাহকে এখনই মন্ত্রিসভায় নিয়ে যাওয়া হবেÑ না কি আরও বছর কয়েক পরে? সামনে বেশ কয়েকটি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আছে। তালিকায় আছে মহারাষ্ট্র থেকে শুরু করে ঝাড়খন্ড এবং হরিয়ানার মতো রাজ্য। পাশাপাশি আগামী বছর দিল্লি এবং বিহারেও বিধানসভা  নির্বাচন হবে। তাছাড়া পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে অমিত শাহকেই সেনাপতি হিসেবে দেখতে চাইছেন একটা বড় অংশ। শেষমেশ অমিত শাহ মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত হন কিনা সেটা আজই জানা যাবে। এদিকে ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই এবারের মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে আরও কয়েকটি আলোচনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বদল হতে পারে। অরুণ জেটলি গত ৫ বছর ভারতের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। কিন্তু নির্বাচন শুরুর কয়েক মাস আগে থেকেই শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন জেটলি। গত ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্র্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করতেও পারেননি তিনি। এবার মোদিকে লিখিতভাবে তিনি জানিয়ে দিলেন, নতুন সরকারে আর কোনো দায়িত্বই নিতে পারবেন না তিনি। শারীরিক অসুস্থতার কারণে যে এ সিদ্ধান্ত, তা নিজের চিঠিতে বুধবার লিখে জানিয়েছেন জেটলি। মোদি এবং অমিত শাহের পরই বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা ছিলেন জেটলি। সরকার এবং দলের ‘ক্রাইসিস ম্যানেজার’ হিসেবে অগ্রণী ভূমিকায় দেখা গেছে জেটলিকে। অসুস্থ হলেও দল এবং সরকারের কাজে প্রয়োজনে তিনি যে সবসময়ই এগিয়ে আসবেন, সে কথাও  চিঠিতে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন এ বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা।  বিজেপির অন্দরের খবর, কিছু পরিবর্তন হলেও মোটের উপর নিজের প্রথম মন্ত্রিসভার অনেক সদস্যকেই দ্বিতীয়বার দায়িত্ব দিতে চলেছেন মোদি। পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশার প্রতিনিধিত্ব মন্ত্রিসভায়  বাড়তে চলেছে বলেই খবর। এবার পশ্চিমবঙ্গে অভূতপূর্ব সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এতদিন রাজ্যের দুই সংসদ সদস্য মন্ত্রিসভায় দায়িত্ব পালন করে এসেছেন। সেই সংখ্যা বাড়বে কিনা তা নিয়ে বিজেপির অন্দরে আলোচনা চলছে।  বিহারে বিজেপি জোট শরিক জনশক্তি পার্টির নেতা রামবিলাস পাসোয়ান কি এবারও মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন সেটাও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। কিছুদিন আগে রামবিলাস বলেছেন, ছেলে চিরাগকে তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় দেখতে চান। কিন্তু দলের অধিকাংশ সদস্য চাইছেন, রামবিলাস নিজেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য হন। ছেলেও এমন কথাই বলেছেন সংবাদমাধ্যমে। আনন্দবাজার, এনডিটিভি