বিশ্বকাপের আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রস্তুতি ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। ভারতের বিপক্ষে মঙ্গলবারের প্রস্তুতি ম্যাচটি তাই ছিল শেষবারের মতো নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার মঞ্চ। সে ম্যাচে ওপেনার তামিম ইকবাল ছাড়া মাঠে নেমেছেন স্কোয়াডের প্রায় সবাই। শুরুতে খেলার কথা না থাকলেও নেমেছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজাও।
মঙ্গলবার এ প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে নেমেই চোটে পড়লেন মাশরাফি। ব্যক্তিগত ষষ্ঠ ওভারের সময় বাঁ পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান মাশরাফি। মাঠের বাইরে চলে যান ওই ওভার পরই। গেল ত্রিদেশীয় সিরিজের সময় মাশরাফি পেয়েছিলেন ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। এবার অন্য পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়েও চোট পেলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে টাইগার সমর্থকদের জন্য যেটা বড় দুঃসংবাদ। মাঠে নামলেও মাশরাফির পরিকল্পনা ছিল সর্বোচ্চ ৪ অথবা ৫ ওভার করার। কিন্তু রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির দ্রুত রান তোলায় লাগাম টানতেই ষষ্ঠ ওভারে বোলিংয়ে এসেছিলেন মাশরাফি। এ ওভারে বোলিংয়ে এসেই চোটে পড়েন তিনি। বাংলাদেশের একটি সংবাদমাধ্যমের সাথে আলাপে মাশরাফি বলেন, ‘বেশির ভাগ সময়ে আমি প্রথম এক-দুই ওভারের মধ্যে সমস্যা অনুভব করি। কিন্তু তখন যদি কিছু না হয়, তবে পরে আর সমস্যা হয় না। মঙ্গলবার হয়নি। তবে ষষ্ঠ ওভারে এসে হ্যামস্ট্রিংয়ে টান পড়ে। আমি চার অথবা পাঁচ ওভার করেই আর বল করতাম না। কিন্তু ওই সময় রোহিত ও কোহলি দুজনই খুব দ্রুত রান তুলছিলেন। আমার মনে হয়েছে, এ পরিস্থিতিতে বোলিং প্র্যাকটিসটা করা দরকার। এ ধরনের ইনজুরিতে সাধারণত পাঁচ থেকে ছয় দিনের বিশ্রাম দেন ফিজিওরা। কিন্তু বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। হাতে আছে তিন দিনের মতো সময়। কিন্তু মাশরাফি চাইছেন, বিশ্রাম যেমনই হোক প্রথম ম্যাচ থেকেই খেলতে।