প্রশ্ন : ফেতরা আদায়ের সময়ের ক্ষেত্রে কোন জিনিসটি ধর্তব্য? সেটা কি ইমামের নামাজ, নাকি ব্যক্তিগত নামাজ, নাকি নামাজের ওয়াক্ত হওয়া?
উত্তর : ঈদের নামাজের আগে ফেতরা আদায় করা ওয়াজিব। দলিল হচ্ছে ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) ফেতরা ফরজ করেছেন অনর্থক কথা ও যৌনালাপ থেকে রোজাদারকে পবিত্র করার নিমিত্তে এবং মিসকিনদের জন্য খাদ্যের ব্যবস্থাস্বরূপ। যে ব্যক্তি নামাজের আগে সেটি আদায় করবে, সেটা কবুলযোগ্য ফেতরা। আর যে ব্যক্তি নামাজের পরে আদায় করবে, সেটি হবে সাধারণ সদকা।’ (আবু দাউদ : ১৬০৯)।
এ হাদিসটির আপাত ভাব হচ্ছে ঈদের নামাজের মাধ্যমে ফেতরা পরিশোধের সময় নির্ধারণ করা। অতঃপর দায়িত্বপ্রাপ্ত ইমাম যখন নামাজ শেষ করবেন, তখনই ফেতরা পরিশোধের সময় শেষ হয়ে যাবে। ব্যক্তিগত নামাজের কোনো ধর্তব্য নেই। যদি আমরা ব্যক্তিগত নামাজ ধর্তব্য বলি, তাহলে তো ফেতরার বিধিবদ্ধ কোনো সময় পাওয়া যাবে না। তাই ইমামের নামাজকেই ধর্তব্য ধরা হয়েছে। তবে কেউ যদি এমন স্থানে থাকে যেখানে ঈদের নামাজ হয় না; যেমন মরুপ্রান্তর। এমন স্থানের লোকদের ফেতরা আদায়ের সময় তাদের সবচেয়ে নিকটবর্তী স্থানের সময় অনুযায়ী নির্ধারিত হবে।
আল-বুহুতি (রহ.) বলেন, ‘উত্তম হচ্ছে ঈদের দিন নামাজের আগে ফেতরা আদায় করা। আর যে স্থানে ঈদের নামাজ হয় না, সেখানে সমপরিমাণ সময়। কেননা নবী (সা.) হাদিসে ঈদের নামাজে বের হওয়ার আগে সেটা আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর অপর একদল আলেম বলেছেন, যখন ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হবে, তখন আদায় করা উত্তম।’ (কাশশাফুল ক্বিনা : ২/২৫২)।
ইসলাম জিজ্ঞাসা ও জবাব ওয়েবসাইট থেকে
অনুবাদ করেছেন মুহাম্মদ নূরুল্লাহ্ তারীফ