খুলনা কর অঞ্চলের সহকারী কর কমিশনার মো. মেঝবাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করদাতাদের দেওয়া ৩ কোটি ৪৭ লাখ ৩৪ হাজার ৪১৯ টাকার পে-অর্ডার সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। খুলনা, বাগেরহাট, কুষ্টিয়া ও মাগুরায় দায়িত্ব পালনকালে এ অনিয়মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এদিকে, সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মেঝবাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। এ অভিযোগ তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। খুলনা মহানগর হাকিম তরিকুল ইসলাম মঙ্গলবার এ আদেশ দেন। এর আগে সোমবার মহানগর হাকিমের আদালত (খালিশপুর) অঞ্চলে মামলাটি দাখিল করেন খুলনা কর অঞ্চলের উপকর কমিশনার (সদর প্রশাসন) খোন্দকার তারিফ উদ্দিন আহমেদ।
অভিযোগে বলা হয়, মো. মেঝবাহ উদ্দিন আহমেদ খুলনা কর অঞ্চলের অধিনস্থ কর সার্কেল-১৪, বাগেরহাটে ২০১৭ সালের ৮ মে থেকে ২০১৮ সালের ৮ নভেম্বর পর্যন্ত করদাতাদের রাজস্ব হিসাবে দাখিল করা বেশকিছু পে-অর্ডার, ডিডি, ক্রস চেক সরকারি কোষাগারের পরিচালিত হিসাবে চালানের মাধ্যমে জমা না দিয়ে বাগেরহাট সোনালী ব্যাংক শাখায় জমা দেন। পরবর্তীতে তিনি ওই অ্যাকাউন্ট থেকে নিজের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ২ কোটি ১০ লাখ ২৪ হাজার ৪২৩ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। মোট ৪০টি চেকের মাধ্যমে তিনি এ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেন। এছাড়া মংলা, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মাগুরায় দায়িত্বে থাকাকালীন একইভাবে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ১ কোটি ৩৭ লাখ ১০ হাজার ৬ টাকা আত্মসাত করেন। এসব বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত হওয়ার পর প্রাথমিক তদন্তে তার অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়। খুলনা কর অঞ্চলের কমিশনার প্রশান্ত কুমার রায় বলেন, মেঝবাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।