বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ অন্তত ৩০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে ছয় দিনব্যাপী অভিযানের শেষ দিন বুধবার এসব অবৈধ স্থাপনা ভেঙে দেওয়া হয়। বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ মেঘনা নদীর পূর্ব তীরে গজারিয়া উপজেলার তেঁতুইতলা ও রায়পাড়া এলাকার কনকর্ড গ্রুপ, মোনায়েম গ্রুপ, প্রোভিটা গ্রুপসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভরাট ও দখলকৃত অংশ অবমুক্তে অভিযান চালায়। এ সময় জব্দকৃত বালু, পাথর ও ভরাট করা অংশ সর্বমোট ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, মেঘনা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ছয় দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নদী দখল ও ভরাটের অভিযোগে খান ব্রাদার্স ডকইয়ার্ড, মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান ইকোনমিক জোন, ইউনিক গ্রুপ, অরিয়ন গ্রুপ, আল মোস্তফা গ্রুপের পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজসহ বেশ কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। জব্দকৃত বালু ও পাথর প্রায় ২ কোটি টাকার বেশি নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া দুইটি চারতলা ভবন, দুইটি দোতলা ভবনসহ গেল ছয় দিনে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
গুলজার আলী বলেন, নদী বাঁচালে দেশ বাঁচবে। কিন্তু শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো নদী দখল করছে যা কাম্য নয়। মেঘনার তীরে মেঘনা গ্রুপ, বসুন্ধরা গ্রুপ, আমান গ্রুপ, হোলসিম সিমেন্ট, মদিনা সিমেন্টসহ ১২টি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নদী ব্যাপকভাবে দখলের প্রমাণ পেয়েছে নদী কমিশন। এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।