আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩০-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

মাটি ফুঁড়ে উঠে এলো ব্রোঞ্জ যুগের জঙ্গল!

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

ব্রোঞ্জ যুগে বন্যায় ডুবে গিয়েছিল আস্ত একটা জঙ্গল। গত চার হাজার বছরের বেশি সময় ধরে মাটির নিচে চাপা ছিল সেটি। সমুদ্রের নোনা পানি, বালি আর ঘাসের নিচে এটি প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। কিন্তু একটা মাত্র ঘূর্ণিঝড়ই সবকিছু পাল্টে দিল। মাটি ফুঁড়ে উঠে এলো ব্রোঞ্জ যুগের সেই জঙ্গল।

দক্ষিণ-পশ্চিম ব্রিটেনের ওয়েলসে সম্প্রতি এই ঘটনা ঘটেছে। ২২ মে সেখানে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় হ্যানা। তারপরই সমুদ্র তীরবর্তী বর্থ এবং আনিসøাস গ্রামের মধ্যবর্তী তিন-চার কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ওই জঙ্গলের হদিশ মেলে। হঠাৎ মাটি ফুঁড়ে বেরিয়ে আসা ওই জঙ্গল নিয়ে হইচই পড়ে যায় চারিদিকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে এরই মধ্যে ওই জঙ্গলের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। তাতে শিকড়-বাঁকড় সমেত বহু গাছের অবশিষ্ট অংশকে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। কোনো কোনো গাছের ওপর আবার ঘাসের আস্তরণও চোখে পড়েছে।
হঠাৎ করে সামনে আসা এই জঙ্গল নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। ওই জঙ্গলে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার হিড়িকও পড়েছে। তবে কেউ কেউ আবার এই জঙ্গলের সঙ্গে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এক সভ্যতার যোগও খুঁজে পেয়েছেন। তাদের কথায়, জঙ্গলের পাশাপাশি ওই এলাকায় জনবসতিও ছিল। ছিল চাষযোগ্য উর্বর জমিও। বন্যা আটকাতে চারিদিকে মজবুত বাঁধও নির্মাণ করেছিলেন সেখানকার মানুষ। জনশ্রুতি রয়েছে, মেরেডিড নামের এক নারী পুরোহিত কর্তব্যে অবহেলা করলে, তার তদারকির দায়িত্বে থাকা একটি কুয়োর জল উপচে পড়ে। তাতেই সব কিছু ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া ওই জঙ্গলে পাইন, ওক, বার্চের মতো গাছ ছিল বলে ধারণা। সমুদ্রের পানির স্তর বৃদ্ধি পেলে সেগুলো নোনা জলের নিচে তলিয়ে যায় বলে জানিয়েছে ব্রিটেনের মেট্রো সংবাদপত্র। কিন্তু ঘাসের চাঙর এবং কাদামাটি জমা হয়ে গাছগুলো প্রাকৃতিকভাবেই সংরক্ষিত হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা যদিও জানিয়েছেন, এর আগেও ওই এলাকায় কিছু গাছের অবশিষ্ট অংশ চোখে পড়েছে। মানুষের জীবাশ্ম এবং পশুপাখিদের পায়ের ছাপও খুঁজে পেয়েছেন প্রতœতত্তবিদরা। তবে বিস্তৃত এলাকাজুড়ে জঙ্গলের হদিস এই প্রথম। আজও ওই এলাকা থেকে মাটির নীচে চাপা পড়ে যাওয়া গির্জার ঘণ্টা বাজতে শোনা যায় বলেও দাবি করেছেন কেউ কেউ। তবে এর কোনো তথ্যনিষ্ঠ প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আনন্দবাজার