ভারতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে যাচ্ছেন নরেন্দ্র মোদি। আজ দিল্লিতে রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন দেশ-বিদেশের ৬ হাজার অতিথি। মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় মোদিকে শপথ পড়াবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। একই সময়ে তিনি অন্য মন্ত্রীকেও শপথবাক্য পাঠ করাবেন। তবে
মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কারা স্থান পাবেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। যদিও মোদি এবং তার বিশ্বস্ত সহযোগী অমিত শাহ উভয়েই মন্ত্রিসভায় কিছু নতুন মুখ আনার পক্ষপাতি। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে বিজেপি বিশাল সাফল্য পেয়েছে, সেখান থেকেও আরও বেশি সংখ্যায় মন্ত্রী করা হতে পারে বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা চলছে স্বরাষ্ট্র, অর্থ, পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষাÑ এই ‘বিগ ফোর’ মন্ত্রণালয় নিয়ে। মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ‘বিমসটেক’ অর্থাৎ ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন’ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর নেতারা। ভারত ছাড়াও বিমসটেকভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান। এছাড়াও কিরগিজস্তানের প্রেসিডেন্ট এবং মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকেও এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে মোদির শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাননি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এদিকে মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন না পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। বুধবার এক টুইটে তিনি একথা জানান। এর আগে মঙ্গলবার দিল্লিতে মোদির শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা। তিনি বলেছিলেন, সাংবিধানিক সৌজন্য রক্ষাতেই মোদির শপথ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই মত বদলে ফেললেন তিনি। মমতা জানিয়েছেন, মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে রাজনীতি ঢুকিয়ে তার গুরুত্ব কমিয়ে দিয়েছে বিজেপি।
মোদি হলেন প্রথম বিজেপি নেতা, যিনি প্রথমবার পাঁচ বছরের মেয়াদ পূর্ণ করে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। এর আগে এই কৃতিত্ব ছিল দুই কংগ্রেস নেতার। একজন জওহরলাল নেহরু, দ্বিতীয় ইন্দিরা গান্ধী। মোদির আগে অটল বিহারী বাজপেয়ি পরপর দুইবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেও তার প্রথমবারের মেয়াদ ছিল ১৯ মাস।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ লোকসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। এবার ৫৪২ আসনের মধ্যে ৩৫৩ আসন পায় বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ)। যেখানে এককভাবে বিজেপির আসন ৩০৩টি। সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজন ২৭২ আসন।