বেহাল যশোরের কেশবপুর উপজেলার বগা জিসি শিকারপুর ভায়া বুড়িহাটি সড়ক- আলোকিত বাংলাদেশ
যশোরের কেশবপুর উপজেলার বগা জিসি শিকারপুর ভায়া বুড়িহাটি পর্যন্ত ৬.৪০ কিলোমিটার মাটির রাস্তার কারণে ২০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার লোকের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমে স্কুল, কলেজপড়–য়া শিক্ষার্থীদের হাঁটু পর্যন্ত কাদা ভেঙে বিদ্যালয়ে যেতে হয়। রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি এখন গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। সরকারিভাবে ওই রাস্তা পাকাকরণে দুইবার বারাদ্দ দেওয়া হলেও শেষ মুহূর্তে প্রভাব খাটিয়ে কেটে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার কারণে জনগণের এ দাবি অপূর্ণই রয়ে গেছে। এলাকাবাসী জানান, কেশবপুর উপজেলার বগা জিসি শিকারপুর ভায়া বুড়িহাটি পর্যন্ত ৬.৪০ কিলোমিটার একটি মাটির রাস্তা রয়েছে। এ রাস্তা দিয়ে মজিদপুর, সাগরদাঁড়ি, বিদ্যানন্দকাটি ও হাসানপুর ইউনিয়নের নেহালপুর, শেখপুরা, আওয়ালগাতি, বুড়িহাটি, কাবিলপুর, বারুইহাটি, শিকারপুর, পাত্রপাড়াসহ কমপক্ষে ২০ গ্রামের ৫০ হাজার লোক চলাচল করে থাকেন। জনগণের ব্যাপক চলাচলের কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটিতে হাঁটু পর্যন্ত কাদা হয়ে থাকে। আশপাশের গ্রামগুলোর শতাধিক শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন সাগরদাঁড়ি কারিগরি মহাবিদ্যালয়, নেহালপুর মাদ্রাসাসহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনায় আসা-যাওয়ায় সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এছাড়া বাজার সওদা সারতেও রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন অনেকে। ফলে এলাকার জনগণকে বাধ্য হয়ে সাগরদাঁড়ি, শুড়িঘাটা, হাসানপুর বাজারে ঢুকতে ৫ থেকে ৭ কিলোমিটার পথ ঘুরে গন্তব্যে পেঁৗঁছাতে হয়। বর্ষা মৌসুমে এলাকার কৃষকের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ওই বাজার দুইটিতে বিকিকিনি করতেও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ব্যবসায়ীদেরও ঝামেলা পোহাতে হয়। ওই রাস্তাটি ইটের সোলিংকরণে দুইবার স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু সব রাস্তাটির দুই জায়গায় সামান্য একটু কাজ করে অবশিষ্ট টাকা প্রভাবশালীদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারা করা হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। ফলে উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা এ ইটের সোলিং জনগণের কোনো কল্যাণে আসছে না। এরপরও ওই রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলার কারণে বর্তমান ওই ইটের সোলিং দেবে গিয়ে অসংখ্য খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে রাস্তাটি দিয়ে বর্তমান হেঁটে যাওয়াও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। হাসানপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রভাষক জুলমত আলী বলেন, এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি জানিয়ে এলেও তা দীর্ঘ ৪০ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি। রাস্তাটি পাকাকরণ খুবই প্রয়োজন। বর্তমান সরকারের সময়ে তার এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হয়েছে। তিনি দ্রুততম সময়ের মধ্যে ওই রাস্তাটিও পাকাকরণ দাবি জানান। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রোকৌশলী মুনছুর রহমান বলেন, এ উপজেলায় যেসব রাস্তা এখনও কাঁচা রয়েছে তার তালিকা করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই ৬.৪০ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ৩ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণে এলজিইডির উন্নয়ন প্রকল্পের প্রফরমা (ডিপিপি) অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। বরাদ্দ মিললে পাকাকরণ করা হবে।