আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস

| চিঠিপত্র

ভালো-মন্দ পার্থক্যের একমাত্র মাধ্যম হলো শিক্ষা। শিক্ষা জাতিকে আলোকিত করে, সমাজকে বদলে দেয়। শিক্ষা মানবজাতির জ্ঞানভা-ারকে পরিপূর্ণ করে। শিক্ষা মানুষকে মানুষরূপে তৈরি করে। শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর। যাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয় আগামীর প্রজন্ম। সেই শিক্ষকদের নিয়োগ পরীক্ষায় স্বচ্ছতা না থাকলে অযোগ্য শিক্ষক নিয়োগ পাবে। অযোগ্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঠিক শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হবে। ফলে আগামী প্রজন্ম সঠিক শিক্ষার অভাবে জ্ঞানহীন হয়ে পড়বে। এতে সমাজ, জাতি ও দেশ পাবে জ্ঞানহীন প্রজন্ম। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। 

প্রশ্ন ফাঁস জিরো টলারেন্সে নামিয়ে আনার ঘোষণা থাকলেও তা কোনোভাবেই সম্ভব হয়নি। প্রশ্ন ফাঁস জাতিকে মেধাশূন্য করে। সেই মেধাশূন্যের কাজে জড়িতরা দেশ, জাতি ও সমাজের শত্রু। টাকার বিনিময়ে চাকরি বাংলাদেশের অন্যতম একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে অনেক; কিন্তু ধরা পড়েছে মাত্র দুই-একটি। প্রশ্ন ফাঁসের এমন ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটে থাকে। প্রশ্ন ফাঁস বাংলাদেশের জন্য একটি কলঙ্কিত ইতিহাস। 
বাংলাদেশে প্রশ্ন ফাঁস ঠেকানো কি আদৌ সম্ভব নয়? প্রশ্ন ফাঁস ঠেকাতে না পারলে মেধাবীদের মূল্যায়ন কখনোই সম্ভব নয়। এভাবে প্রশ্ন ফাঁস হতে থাকলে শিক্ষা ও শিক্ষিতদের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। ঘৃণা জন্ম নেবে শিক্ষিত জাতির প্রতি। প্রশ্ন ফাঁসকারীদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যর্থতাকে পরাজিত করে প্রশ্নপত্রের ফাঁস ঠেকিয়ে শিক্ষার মানকে উন্নত করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। 

মো. আজিনুর রহমান লিমন
আছানধনী মিয়াপাড়া, ডিমলা, নীলফামারী