আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

যান চলাচলে কঠোর শৃঙ্খলা চাই

ঈদযাত্রা হোক স্বস্তিকর

| সম্পাদকীয়

উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা ত্রিমোড়। দুই ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবের ছুটিতে এ পথে গ্রামের বাড়িতে ফেরেন অসংখ্য মানুষ। বিগত দিনগুলোতে এমন কেউ নেই এ চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যানজটে আটকা পড়ে নাজেহাল হননি। বিভিন্ন ছুটি ছাড়াও ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকত এ মোড়ে। একই চিত্র ছিল গাজীপুরের কোনাবাড়ীতেও। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র লক্ষ করা যাচ্ছে। আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশ, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা ত্রিমোড়ে যানবাহন আর থামছে না। গাজীপুরের দিক থেকে উত্তরবঙ্গের দিকে আবার উত্তরবঙ্গের দিক থেকে গাজীপুরের দিকে যে পরিবহনগুলো যাবে, তারা উড়াল সড়ক ব্যবহার করে চলে যাচ্ছে। কোথাও তাদের থামতে হচ্ছে না। অন্যদিকে যে পরিবহনগুলো উত্তরবঙ্গের দিক থেকে সাভারের নবীনগর হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে আবার ঢাকার দিক থেকে সাভারের নবীনগর হয়ে উত্তরবঙ্গের দিকে যাবে, তারা চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় উড়াল সড়কের নিচ দিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা ত্রিমোড়ে চিরচেনা সেই যানজট দেখা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, ২৫ মে কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা উড়াল সড়ক চালু করার সুফল পেতে শুরু করেছেন এ মহাসড়কে চলাচলরত যাত্রীরা।
উল্লেখ্য, এবারের ঈদযাত্রাকে যানজটমুক্ত, নির্বিঘœ ও আরামদায়ক করতে ২৫ মে দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুসহ আটটি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেঘনা-গোমতী সেতু ছাড়া আরও যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে সেগুলো হলোÑ পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামের ট্রেন, গাজীপুর-চন্দ্রা-এলেঙ্গা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাজীপুর অংশে নির্মিত কোনাবাড়ী ও চন্দ্রা ফ্লাইওভার, কড্ডা ও বাইমাইল সেতু এবং কালিয়াকৈর আন্ডারপাস। প্রকল্পগুলো উদ্বোধনের পর ঢাকা থেকে কুমিল্লা এখন মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যেই পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। অথচ গেল ঈদের আগেও যানজটে নাজেহাল হতে হয়েছিল যাত্রীদেরÑ গন্তব্যে পৌঁছতে লেগেছিল নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি। বোঝা যাচ্ছে এসব প্রকল্প থেকে বড় ধরনের সুফল পেতে শুরু করেছেন এবারের ঈদযাত্রীরা।
আমরা চাই সেতু ও উড়াল সড়কগুলো খুলে দেওয়ার ফলে ঈদযাত্রায় যে সুফল ভোগের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তা যেন কোনোভাবেই ব্যবস্থাপনাজনিত ত্রুটির কারণে ব্যাহত না হয়। অনেক সময় মহাসড়কগুলোতে অবৈধ নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, অটোটেম্পো ও ট্রলি অবাধে চলাচল করায় দ্রুতগামী পণ্য ও যাত্রীবাহী পরিবহন চলাচলে বিঘœ ঘটে। এসব সড়কে এ জাতীয় পরিবহন যেন চলাচল করতে না পারে, সেদিকে এখন থেকেই নজরদারি রাখতে হবে। পাশাপাশি পরিবহনে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া বন্ধ করতে হবে। সবার ঈদযাত্রা শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ হোকÑ এমনটাই প্রত্যাশা।