ক্রিকেট দুনিয়ায় এর চেয়ে বড় আসর আর নেই, সেই আসর আবার বসছে ক্রিকেটের আঁতুড়ঘর ইংল্যান্ডে। সারা বিশ্বের ক্রিকেট-পাগল সমর্থকদের নজর ইংল্যান্ডমুখী। তবে বিশ্বব্যাপী অধীর আগ্রহে টিভি পর্দার সামনে বসে থাকা দর্শকদের হৃদয় কতটুকু ভরাতে পেরেছে সেই প্রশ্ন এরই মধ্যে উঠতে শুরু করেছে।
কোনো ক্রিকেট মাঠে নয়, প্রথা ভেঙে এবার বিশ্বকাপ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছে একটি সড়কের ওপর। ব্রিটেনের মধ্য লন্ডনের ওয়েসমিনিস্টার শহর ও বাকিংহাম প্রাসাদের মধ্যের সড়ক দ্য মলে স্থানীয় সময় বিকালে উদ্বোধনী পর্ব শুরু হয়। ভিন্ন স্বাদের এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা ওঠে ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশতম আসর। দিনের আলোয় তাই ছিল না কোনো আতশবাজির ঝলকানি। জাঁকজমকও ছিল না মেগা ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসুলভ। ২০ বছর পর বিশ্বকাপ আয়োজন করছে ইংল্যান্ড, নিজেদের মাটিতে সর্বশেষ আসরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়েছিল ব্যাপক সমালোচিত। তাই এবার সমর্থকদের দারুন কিছু উপহার দেওয়ার কথা বলা হচ্ছিল আয়োজকদের পক্ষ থেকে। ২০১১ সালে বাংলাদেশে ও ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের উদ্বোধনী বেশ প্রশংসিত হয়েছিল। তারই ধারাবাহিকতায় এবার ইংল্যান্ডও জমকালো আয়োজন করতে চেয়েছিল।
বিশ্বকাপের বোধন হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। তার আগে বাকিংহাম প্যালেসে রানি এলিজাবেথের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশের মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ অন্য নয় দেশের অধিনায়ক। শুধু বাংলাদেশই নয়, দশ দেশের অধিনায়ক রানির সঙ্গে সৌজন্য কুশলবিনিময় করেন। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয়ে যায় প্রিন্স হ্যারির সঙ্গেও। রয়্যাল ফ্যামিলির তরফেও ছবি পোস্ট করা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ক্রিকেট বিশ্বযুদ্ধের আসর বসেছে রানির দেশ ও ওয়েলসে, সে জন্য সেজে ওঠেছে ইংল্যান্ড। ব্যাট-বলের লড়াইও শুরু হয়ে গেছে গতকাল। বিশেষজ্ঞরা ইংল্যান্ডকে ফেভারিট ধরছেন। ১৪ জুলাই কোন দেশের অধিনায়ক বিশ্বকাপ হাতে তুলবেন সেটাই দেখার পালা।