আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

জিয়ার মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

খালেদাকে মুক্ত করার শপথ বিএনপির

দেশে দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে, বললেন ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
| নগর মহানগর

জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কারাবন্দ্রি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে বিএনপির এ প্রতিষ্ঠাতার আদর্শ অনুসরণ করে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনারও অঙ্গীকার করেছে দলটি। বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবার্ষিকীতে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ শপথের কথা জানান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো। সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্র্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিুকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু হয়। বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের মাজারে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে মোনাজাত করেন তারা। এরপর মাজার প্রাঙ্গণে জাতীয়বাদী ওলামা দলের উদ্যোগে মিলাদে অংশ নেন বিএনপি মহাসচিবসহ স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দ্রকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, কেন্দ্র্রীয় নেতা শাহজাহান ওমর, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, আহমেদ আজম খান, আমানউল্লাহ আমান, হাবিবুর রহমান হাবিব, সিরাজউদ্দিন আহমেদ, মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আবদুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী, শামীমুর রহমান শামীম, শহিদুল ইসলাম বাবুল, মফিকুল হাসান তৃপ্তি, সেলিম রেজা হাবিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির অঙ্গ সংগঠনগুলোর নেতারাও সেখানে ছিলেন।
দেশে দুঃশাসনের রাজত্ব চলছেÑ ফখরুল : দলের প্রতিষ্ঠাতার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজকে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। গণতন্ত্রের মাতা দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে আটক করে রাখা হয়েছে। সমগ্র দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। দেশে একটি দুঃশাসনের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি বলেন, শাহাদৎবার্ষিকীর এ দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দর্শন ও আদর্শ সামনে নিয়ে তাকে অনুসরণ করে আমরা শপথগ্রহণ করব যে, আমরা দেশনেত্রীকে মুক্ত করব এবং গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করব। 
মির্জা ফখরুল বলেন, হাজার চেষ্টা করলেও শহীদ জিয়াউর রহমানকে বাংলাদেশের ইতিহাস থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া যাবে না। বাংলাদেশ যুদিন থাকবে, ততদিন শহীদ জিয়াকে মানুষ স্মরণ করবে। তার অনেকগুলো কারণে মধ্যে একটি প্রধান কারণ হলো একদলীয় শাসনের প্রেক্ষাপটে তিনি ক্ষমুায় এসে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি বলেন, সেই আন্দ্রোলনে এখনও আমরা আছি। আমাদের নেত্রী জেলখানায় আছেন। কিন্তু বিএনপি এখনও সজাগ, এখনও সচেষ্ট ও এখনও শক্তিশালী একটি সংগঠন। আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে যাব।