বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটে মায়ের কোল থেকে ফেলে যাওয়া সেই কন্যাশিশুটি আর নেই। বুধবার হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা গেছে।
২১ মে মানসুরা নামের এক প্রসূতি নারী গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ওইদিন সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি অসুস্থ থাকায় নবজাতককে ইউনিটে পাঠানো হয়। এ সুযোগে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তার মা মানসুরা। ফেলে যাওয়া শিশুটির দায়িত্ব নিয়েছিল সমাজসেবা বিভাগ।
হাসপাতালের সমাজসেবা কর্মকর্তা দিলরুবা আক্তার রইচি সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন শিশুটিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আগৈলঝাড়া বিভাগীয় ছোটমণি নিবাসে পাঠানো হবে; কিন্তু কন্যাশিশুটির ছোটমণি নিবাসে আর যাওয়া হলো না। শেবাচিম হাসপাতালের নবজাতক ইউনিটের বিভাগীয় প্রধান বিসি বিশ্বাস বলেন, শিশুটি জন্মের পর থেকে বিভিন্ন সংক্রমণে ভুগছিল। বুধবার শিশুটি মারা যায়। প্রসঙ্গত, মানসুরা বেগম নামক এক নারী শেবাচিম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি হন। সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি কন্যাসন্তান জন্ম দেন। শিশুটি অসুস্থ হলে রোববার নবজাতককে ইউনিটে স্থানান্তর করার পর মা মানসুরা বেগম প্রসূতি বিভাগের ওয়ার্ডে থেকে যান। এ সুযোগে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তিনি। ভর্তির সময় হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে মানসুরার ঠিকানা বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ গ্রাম উল্লেখ করা হলেও স্বামীর নাম লেখা হয়নি। পিতার নাম লেখা হয়েছে আহম্মেদ আলী। তবে ওই ঠিকানায় খোঁজ নিয়ে মানসুরার সন্ধান পাওয়া যায়নি।