দুস্থদের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফ ও ভিজিডির চাল কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে ৬০০ বস্তা চাল। বুধবার রাতে রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের পালিচড়া থেকে এসব চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও ব্যবসায়ী আনছারুল ইসলাম, আকমাল হোসেনসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
রংপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নাসিমা জামান ববি ও ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন জানান, আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দুস্থদের জন্য সরকার থেকে জনপ্রতি ১৫ কেজি করে চাল বরাদ্দ দিয়েছে। সদর উপজেলার সদ্যপুস্করণী ইউনিয়নের প্রায় ৬ হাজার ২৯০ জন সুবিধাভোগীর মাঝে বিতরণের জন্য মঙ্গলবার ৩ হাজার ১৪৫ বস্তা চাল ইউনিয়ন পরিষদে আনা হয়। বুধবার ওই এলাকায় চাল বিতরণ শেষে ৬ থেকে ৭০ জন কার্ডধারী নারী চাল না পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখান। চাল বিতরণ শেষ হয়েছে জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান পরবর্তী সময়ে তাদের চাল প্রদানের আশ্বাস দেন। বিষয়টি জানাজানি হলে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আসে। বুধবার রাতে ২১ বস্তা চাল স্টেশন এলাকায় নিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর দর্শনা থেকে অটোচালকসহ ওই চালগুলো জব্দ করে তাজহাট থানা পুলিশ।
রংপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন জানান, রাতেই চাল উদ্ধারে অভিযানে নামে র্যাব-১৩। রাত থেকে পালিচড়া বাজারের আনছারুল, রাঙ্গা, সুমন ব্যাপারী, কুরবানসহ একাধিক গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় ৬ শতাধিক চালের বস্তা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও ব্যবসায়ী আনছারুল ইসলামকে আটক করা হয়। এসব চাল কালোবাজারে বিক্রির জন্য মজুত করা হয়েছিল বলে জানান তিনি। র্যাব-১৩ এর রংপুর সদর দপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহেল রানা ও ব্যবসায়ী আনছারুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল রানা র্যাব হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।