আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ৩১-০৫-২০১৯ তারিখে পত্রিকা

ডাকসুর আজীবন সদস্য হলেন শেখ হাসিনা

আলোকিত ডেস্ক
| শেষ পাতা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) আজীবন সদস্য পদ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে ডাকসুর দ্বিতীয় কার্যনির্বাহী সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ডাকসু ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। খবর বিডিনিউজের।
সভা শেষে ডাকসুর সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, গেল সভায় আমাদের এজেন্ডাটি অনানুষ্ঠানিকভাবে থেমে থাকলেও আজ (বৃহস্পতিবার) এ প্রস্তাবটি একেবারে সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে। আজ থেকেই প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা ডাকসুর আজীবন সম্মানিত সদস্য হিসেবে গৃহীত হবেন। এরপর ডাকসুর প্যাডে এক বিবৃতিতেও শেখ হাসিনাকে আজীবন সদস্য পদ দেওয়ার কথা জানানো হয়। ওই বিবৃতিতে ডাকসুর জিএস রাব্বানীর স্বাক্ষর থাকলেও ভিপি নুরুল হক নূরের স্বাক্ষর নেই। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নূর বলেন, প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আমি এজন্যই স্বাক্ষর করিনি, কারণ ১ নম্বর সিদ্ধান্তে (প্রধানমন্ত্রীর সদস্য পদ) আমার এবং সমাজসেবা সম্পাদক আখতারের সমর্থন ছিল না। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সদস্য পদের বিষয়ে আমরা আগের বক্তব্যে যেটি বলেছিলাম, না ডাকসুর গঠনতন্ত্রেও এ রকম কোনো বিধান নেই। গঠনতন্ত্রে আজীবন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়টি আগে ছিল কিন্তু পরে সেটি তুলে দেওয়া হয়েছিল। এ নির্বাচন নিয়ে যেহেতু শিক্ষার্থীদের মধ্যে অভিযোগ রয়েছে বা আমরা নিজেরাও দেখেছি যে এ নির্বাচনে অনিয়ম, অসঙ্গতি, কারচুপি; সেখানে এ রকম একটি নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রীকে সদস্য পদ ঘোষণা করাও মনে করি তাকে অসম্মান করা। তার এ বক্তব্য সঠিক নয় দাবি করে গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের সভায় যখন প্রস্তাবটি আনা হয়েছিল সেটি সর্বসম্মতিতে পাস হয়েছে। আমরা যখন ফ্লোর ওপেন করেছিলাম তখন আমাদের সভাপতি বলেছিলেন যে, এ বিষয়ে কারো কোনো প্রস্তাবনা বা পক্ষে-বিপক্ষে মতামত আছে কি না। তখন তিনি (নূর) কোনো কিছু বলেননি বা কোনো ধরনের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য প্রদান করেননি। তিনি (নূর) সভা শেষে যখন চলে যান, তখন বিক্ষিপ্ত-বিচ্ছিন্ন বক্তব্য প্রদান করেছেন, যেটি গ্রহণযোগ্য নয়। এ সভায় ডাকসুর বার্ষিক বাজেট ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকা অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এছাড়া সভায় ১৯৭৩ সালের ২ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আজীবন সদস্যপদ প্রদানের স্মারকপত্র ছিঁড়ে ফেলার ঘটনার নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ করে পরবর্তী নির্বাহী সভার এজেন্ডাভুক্ত করা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপনের আগেই সব বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা চালু করতে যাবতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ক্যাম্পাসে গণপরিবহন ও রিকশা ভাড়া নির্ধারণে ঈদের পর পলিসি ডায়ালগ আয়োজনের সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।