ঘড়িতে কাঁটায় কাঁটায় ভারতীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা। রাষ্ট্রপতি ভবনে রাইসিনা হিলের ফোরকোর্টে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয়বার শপথ নিলেন নরেন্দ্র দামোদর দাস মোদি। এদিন রাষ্ট্রপতি ভবনের ফোরকোর্টে চলে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। মোদিকে শপথবাক্য পাঠ করান ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। মোদির শপথগ্রহণের পরই একে একে শপথ নিতে থাকেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন রাজনাথ সিং, অমিত শাহ, নীতিন গড়করি, সদানন্দ গৌড়া, নির্মলা সীতারমন, নরেন সিং তোমার, রামবিলাস পাসোয়ান প্রমুখ। এদিন মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে বিমস্টেক দেশের প্রতিনিধিরাও
উপস্থিত ছিলেন। বিদেশি অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, কিরঘিস্তানের প্রেসিডেন্ট সোরোনবে জিনবেকভ, মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রভিন্দ জুগনউথ, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং, মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা। মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির বর্ষিয়ান নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, ইউপিএ চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রমুখ। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, শিল্পপতি, বিশিষ্টরা মিলিয়ে অতিথির সংখ্যা প্রায় ৮ হাজার। এদিন বিকালেই অতিথিদের সবাই পৌঁছে যান রাষ্ট্রপতি ভবনে। মোদির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গে খুন হওয়া ৫২ বিজেপি কর্মীর পরিবারের মোট ৭০ সদস্য । পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি প্রথমে শপথগ্রহণে যোগ দেওয়ার কথা বললেও পরে ওই সিদ্ধান্ত বদল করেন। এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এ শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পাননি।