নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিলেও তারা তা করতে পারে নাÑ এমন মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করতে তারা বিভিন্ন কথা বলে আসছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলনের কথা বলে। তা শুধু শুনি, কিন্তু দেখি না। তাদের আন্দোলন রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করা হবে।
বিএনপিতে নেতৃত্বের কোন্দল রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ঈদযাত্রা নিয়ে প্রস্তুতি সভায় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে দলটির নেতাদের রাজনীতি না করার অনুরোধ জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, চিকিৎসকরা বলছেনÑ খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে, কিন্তু তারা (বিএনপি নেতারা) ভিন্ন কথা বলছেন। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তথা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে খালেদাকে নিয়ে রাজনীতি করছেন তারা। তিনি বলেন, আন্দোলনের কথা বলা নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করার চিরাচরিত নিয়ম। কিন্তু তাদের আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেবে না।
খালেদা জিয়াকে আইনিভাবে মুক্ত করতে বিএনপি নেতাদের শপথের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা শপথ নিতেই পারে। আইনিভাবে মোকাবিলা করে বের করার কথা তারা বলতেই পারে। বিএনপিতে নেতৃত্বের কোন্দল রয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, শিরদাঁড়া উঁচু করতে হলে নেতৃত্বের জোর দিতে হবে। কাজের সমন্বয় ও নেতৃত্বের একাগ্রতা থাকতে হয়। তারা শিরদাঁড়া উঁচু করতে পারবে না।
ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ সরকারকে মানে না, তারা নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করল। কিন্তু তাদের নির্বাচিত এমপিরা শপথও নিলেন, এমনকি সংরক্ষিত আসনেও নারী এমপি শপথ নিলেন। কিন্তু তাদের দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শপথ নিলেন না। এতেই বোঝা যায়, তাদের নেতৃত্বে কোন্দল রয়েছে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, তাহলে বিএনপির এমপিরা কীভাবে শপথ নেন?
এবারের ঈদযাত্রা নিয়ে শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তবে তিনি বাসের মালিকদের উদ্দেশ করে বলেন, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামিয়ে যানজট সৃষ্টি করবেন না। তিনি বলেন, ঈদ উপহার হিসেবে দেশবাসীকে দুই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে সেতু, ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে এবার ঈদযাত্রা স্বস্তির হবে। দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতু উদ্বোধনের ফলে চট্টগ্রামের সঙ্গে ঢাকার সহজ সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন সাড়ে ৪ ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাচ্ছে। টাঙ্গাইল মহাসড়কে ফ্লাইওভার ও আন্ডারপাস হওয়ায় উত্তরবঙ্গের চিরায়ত যানজট কমেছে। এটা সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থায় মাইলফলক।