তামাক নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির বাজেট বরাদ্দের প্রতিশ্রুতি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন তামাক নিয়ন্ত্রণে বাজেট বরাদ্দ ও মোবাইল কোর্ট করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উদযাপন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার গুলশান-২ করপোরেশনের সভাকক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে করপোরেশন ও ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি ও পরবর্তী করণীয় বিষয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী অকাল মৃত্যু এবং রোগের অন্যতম প্রধান ও প্রতিরোধযোগ্য কারণ হলো তামাকের ব্যবহার। টোব্যাকো এটলাস, ২০১৮ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর তামাকজনিত রোগে মারা যায় ১ লাখ ৬১ হাজার ২০০ জন। সারা বিশ্বে সমন্বিতভাবে তামাক নিয়ন্ত্রণ ও তামাকের ব্যবহার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ২০০৩ সালে ঋৎধসবড়িৎশ ঈড়হাবহঃরড়হ ড়হ ঞড়নধপপড় ঈড়হঃৎড়ষ (ঋঈঞঈ) চুক্তি অনুমোদিত হয়। বাংলাদেশ এ চুক্তির প্রথম স্বাক্ষরকারী দেশ এবং এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ২০০৫ সালে ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন প্রণয়ন করে ও পরে ২০১৩ সালে আইনটি সংশোধন করা হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পরিচালিত এড়নধষ অফঁষঃ ঞড়নধপপড় ঝঁৎাবু (এঅঞঝ) ২০১৭ অনুসারে বাংলাদেশে কর্মক্ষেত্রে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে ৪৩ শতাংশ মানুষ। এছাড়াও পাবলিক পরিবহনে ৪৪ শতাংশ, সরকারি প্রতিষ্ঠানে ও ভবনে ২১.৬ শতাংশ এবং রেস্তোঁরায় ৪৯.৭ শতাংশ পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মানুষকে রক্ষা করতে বিদ্যমান আইনে সব পাবলিক প্লেসে ধূমপান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন দীর্ঘদিন ধরে অন্যান্য সমাজ উন্নয়নমূলক কার্যক্রমের পাশাপশি তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ঢাকা শহরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সাল থেকে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তামাক নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে যার মধ্যে ধূমপানমুক্তকরণ নির্দেশিকা প্রণয়ন অন্যতম। ধূমপানমুক্তকরণ নির্দেশিকা ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রি. জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাভার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরী এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সহকারী পরিচালক ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মো. মোখলেছুর রহমান। সভা সঞ্চালনা করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক। সভা আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস্। সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সচিব, বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও বিভিন্ন তামাকবিরোধী সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি