দুর্যোগ মোকাবিলায় ১৭০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করছে সরকার। এর মধ্যে ভোলা জেলায় ৯৭টি এবং চট্টগ্রামে ৭৩টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ৯১৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ সংক্রান্ত দুটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়। এছাড়া বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অধীন পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ বাস্তবায়নাধীন ‘পায়রা সমুদ্র বন্দরের প্রথম টার্মিনাল এবং আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ‘কন্সট্রাকশন অব টেম্পোরারি (সার্ভিস) জেটি উইথ কানেকশন রোড এট পায়রা পোর্ট’ কাজের ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৬৭ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে এটি বাস্তবায়নে নির্মাণ কাজের প্রস্তাবটি যৌথভাবে কাজ পেয়েছে আরবিএল, এনইএল ও এফকে লিমিডেট।
পাশাপাশি আগামী ৫ বছরের জন্য আনুমানিক ২৫ হাজার কোটি টাকার ৬৫ লাখ মেট্রিক টন নন-ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবে নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। প্রতিবছর ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি করা হবে। ৫ বছরে মোট ৬৫ লাখ টন সার আমদানিতে ব্যয় হবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোসাম্মাৎ নাসিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) এবং বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে অনুমোদিত ‘বহুমুখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র’ প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রাম জেলায় ৭৩টি সাইক্লোন শেল্টার ও তৎসংলগ্ন সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৩৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে এ শেল্টারগুলোর নির্মাণ কাজ পেয়েছে ওয়াহিদা কনস্ট্রাকশন। একই প্রকল্পের আওতায় অন্য একটি প্রস্তাবে ভোলা জেলায় ৯৭টি সাইক্লোন শেল্টার ও তৎসংলগ্ন সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের প্রস্তাবেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৫২৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ কাজটি বাস্তবায়নে কাজ পেয়েছে তমা কন্সট্রাকশন। নাসিমা বেগম আরও বলেন, ৫ বছরের জন্য প্রতিবছর ১৩ লাখ মেট্রিক টন করে নন-ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে করে প্রতিবছর খরচ হবে ৫ হাজার কোটি টাকা।