উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও অন্য অতিথিরা
ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’। তিন দিনব্যাপী এ মেলা চলবে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এর আয়োজন করেছে। মেলার প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক।’ প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় মেলার উদ্বোধন করেন। এ মেলার অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে দর্শকরা ফাইভ জি’র অভিজ্ঞতা পাবেন। হুয়াওয়ে ফাইভ জি ডিভাইস প্রদর্শন করবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি একেএম রহমতুল্লাহ, তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক মন্ত্রণালয়ের সচিব নূর উর রহমান, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন। উদ্বোধনী পর্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর ভূমিকার জন্য ১৪টি ক্যাটাগরিতে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
মেলায় হিউম্যান টু মেশিন বা মেশিন টু মেশিন যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকছে। এর মাধ্যমে একটি ইন্টারেক্টিভ হিউম্যানয়ে রোবট হাতের ইশারার নির্দেশে সকার খেলবে। অন্য একটি প্লে জোনে দর্শনার্থীরা ফাইভ জি প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল টাইম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) পরীক্ষা করতে পারবেন। এছাড়া মেলায় ২৫টি স্টল, ২৯ মিনি প্যাভিলিয়ন ও ২৮টি প্যাভিলিয়ন রয়েছে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নারও আছে। সে কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। এসবের পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় তাদের সর্বশেষ উদ্ভাবন প্রদর্শন করছে। অন্যদিকে মেলা উপলক্ষে জিজিটাল উদ্যোক্তা সম্মেলন, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা এবং ১৩টি সেমিনারও অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে প্রযুক্তি দুনিয়ার সর্বশেষ উদ্ভাবন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অগ্রগতি তুলে ধরাই এ মেলার লক্ষ্য।
িি.িফরমরঃধষনধহমষধফবংযসবষধ.ড়ৎম.নফ ওয়েব লিংকে ঢুকে রেজিস্ট্রেশন করলে বিনামূল্যে মেলায় প্রবেশের সুযোগ পাবেন দর্শনার্থীরা। এছাড়া মেলার প্রবেশমুখেও রেজিস্ট্রেশন করার ব্যবস্থা রয়েছে।