জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি স্থায়ী প্রতিকৃতি স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন ভৈরব উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা মো. সায়দুল্লাহ মিয়া। উপজেলা পরিষদের নতুন ভবনের সামনে আট ফুট উচ্চতার এবং ৯ ফুট প্রশস্থের এ প্রতিকৃতি স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আর ১৭ মার্চ মহান নেতা বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর আগেই এটি বাস্তবায়ন হবে বলেও জানান তিনি। যাতে করে নতুন প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়।
এছাড়াও প্রায় ৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি’ নির্মিত হবে বলে নিশ্চিত করেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা
লুবনা ফারজানা। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চে ঐতিহাসিক ভাষণে তর্জনী তুলে ধরার দৃশ্যটি এ প্রতিকৃতিতে শোভা পাবে বলেও জানান তিনি। ফলে প্রতি বছর এ প্রতিকৃতিতে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সর্বস্তরের জনগণ।
জানা গেছে, স্বাধীনতার ৪৯ বছরেও ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি’ স্থাপিত হয়নি। অথচ প্রতি বছরই ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবস এবং ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়। ফলে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে কেউ কাগজের ছবিতে আবার কেউ দেয়ালে আঁকা ছবিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন। যদিও প্রায় ১০ বছর আগে পৌর মেয়র অ্যাডভোকেট ফখরুল আলম আক্কাছ তার দ্বিতীয় মেয়াদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দুর্জয় মোড় থেকে ভৈরব বাজারে প্রবেশের মূল সড়কটি ‘বঙ্গবন্ধু সরণি’ নামকরণ; সেইসঙ্গে একই বছরের ১৫ আগস্টে ‘বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল’ উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর থেকে জাতীয় শোক দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আসছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও উপজেলা প্রশাসন।