কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ১৩ বছর বয়সি এক কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে পৌর শহরের জগনাথপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনার মামলা নিয়ে বেঙ্গল ও রেলওয়ে থানায় চলছে ঠেলাঠেলি। ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ি সুনামগঞ্জের ধিরাই উপজেলার বোয়ালি গ্রামে। গণধর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাস বলেন, কিশোরী মেয়েটি তার খালার বাসা টঙ্গী থেকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডে নামে। এ সময় রাত আনুমানিক ৮টা। পরে মেয়েটি সিলেটের বাসে উঠতে এক রিকশাওয়ালার সহযোগিতা চায়। রিকশাচালক তাকে রিকশায় তোলে। এ সময় আরেক যুবকও ওঠে। পরে মেয়েটিকে সিলেট বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছে না দিয়ে উল্টোদিকে জগনাথপুরে রেললাইনের অদূরে একটি নির্জন ঝোপে নিয়ে যায়। ওসি আরও বলেন, পরে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে কয়েকজন পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে বলে দাবি ধর্ষিতার। পরে মেয়েটিকে অন্য জায়গায় নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে দেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। পরে মেয়েটিকে রেলওয়ে থানায় নিয়ে আসেন ওই ব্যক্তি। এ সময় রাত আনুমানিক দেড়টা বাজে। পরে ধর্ষিত মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। রেলওয়ে ওসি ফেরদৌস আহমেদ বিশ্বাসের দাবি, মেয়েটির তথ্যানুযায়ী স্থানটি রেলওয়ে থানার আওতাধীন নয়। পরে তাকে বেঙ্গল থানায় নিয়ে গেলে তারাও মানতে নারাজ। কোনো অভিযোগ আমলে না নিয়ে ধর্ষিত মেয়েটিকে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে নিরুপায় হয়ে রেলওয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভৈরব থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীন জানান, গণধর্ষণের ঘটনাটি শুনেছি। তাছাড়া রেলওয়ে থানার এলাকা হওয়ায় রেলওয়ে থানায় মামলা হচ্ছে। এছাড়াও ধর্ষকদের গ্রেপ্তারে আমাদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে।