আজকের পত্রিকাআপনি দেখছেন ১৭-০১-২০২০ তারিখে পত্রিকা

বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণ

ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিক্ষোভ

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা
| দেশ

চট্টগ্রামের বাঁশখালী ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে বেড়িবাঁধ নির্মাণকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে পুঁইছুড়ি ইউনিয়নের নবনির্মিত বেড়িবাঁধ প্রকল্প নির্মাণের ম্যাপে শত শত বছরের বসত ভিটা, বাড়িঘর উচ্ছেদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী তাদের ক্ষয়ক্ষতি ও পুনর্বাসনের দাবিতে উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী র্কমকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, পশ্চিম পুঁইছুড়ি থেকে বহদ্দারহাট পর্যন্ত খাল ও গোবিন্দার খালের পুইঁছুড়ি অংশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে অপরিকল্পিত প্রকল্প হাতে নিয়ে মাটি কেটে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে আমাদের শত শত বসতবাড়ি, পুকুরসহ মূল্যবান স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। যার ফলে আমাদের পথে নামতে হবে। তারা আরও অভিযোগ করেন, বেড়িবাঁধ প্রকল্পের আশপাশে সরকারি খাস জমি ছাড়াও আমাদের মালিকানাভুক্ত দখলি জমিতে উত্তরাধিকার সূত্রে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে ভোগ দখলে আছি। কিন্তু কোনো ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে তারা বেড়িবাঁধ নির্মাণ করছে। আমাদের কোনো ধরনের নোটিশ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি। মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, পুইঁছুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান গনী চৌধুরী লেদু মিয়া, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ নেতা খোরশেদ পাশা, যুবলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ, পুঁইছুড়ি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছৈয়দ আজম, ফজল করিম, আবু তাহের, মো. আনছার, আলমগীর, রামপদ জলদাশ, কমল জলদাশ, যদুনাথ জলদাশ, সালাহদ্দীন, কাইছার উদ্দীন  প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে ক্ষতিগ্রস্ত ছৈয়দ আজম বলেন, আমরা আমাদের র্পূব পুরুষ থেকে শুরু করে প্রায় শত বছর ধরে এ এলাকায় বসবাস করে আসছি। হঠাৎ বেড়িবাঁধ নির্মাণের কথা বলে আমাদের কোনো ধরনের নোটিশ প্রদান না করে ঘরবাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য মাইকিং করে। আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের ন্যায্য ক্ষতিপূরণসহ পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি। পুঁইছুড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতানুল গনী চৌধুরী বলেন, আমার ইউনিয়নে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে যেই বেড়িবাঁধ প্রকল্প নির্মাণ হচ্ছে সেখানে খাস জমি এবং ব্যক্তি মালিকানা জায়গাও রয়েছে। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিন্তু আমাকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে কেউ অবগত করেননি এবং ক্ষতিগ্রস্ত কাউকে নোটিশ প্রদান করেননি। কিন্তু কয়েকদিন আগে এলাকাবাসীকে উঠে যাওয়ার জন্য মাইকিং করেছে। আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং সরকারের কাছে  ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর পুনর্বাসনের দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, আমি বিষয়টি আজকেই পরিদর্শন করে পানি উন্নয়ন বোর্ডে এবং আগামী রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে বিষয়টি উপস্থাপন করব। পরবর্তী সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।